fbpx

ঘাটতির বাজেট, এক তৃতীয়াংশ পূরণ হবে ঋণ করে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।  বৃহস্পতিবার ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ করেন তিনি।

এবারের বাজেটে আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যেখানে ঘাটতি রয়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৬.২ শতাংশ। এই ঘাটতির এক তৃতীয়াংশ ঋণ করে যোগাড় করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

ঘাটতির এই বাজেটে রাজস্ব খাত থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার যোগান আসবে বলে ধরা হয়েছে। যা বর্তমান সরকারের বাস্তবায়ন করা হবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

এরপরও আয় ও ব্যয়ের হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা, যা এখন পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বিগত বছরগুলোতে সরকার ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে রেখে বাজেট প্রণয়নের চেষ্টা করে। কিন্ত গতবার করোনার কারণে প্রণোদনার টাকা যোগানোর চাপ থাকায় তা ৬.১ শতাংশে পৌঁছায়। এবার সেই রেকর্ডও অতিক্রম করলো বাংলাদেশ।

সরকার এই আয়-ব্যয়ের সামাঞ্জস্য করে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়ে। সরকার বিদেশি সাহায্য ও বিদেশি ঋণ নিয়ে, দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে ধরা করে, জনগণের কাছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করে। তবে এবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রীকে এক তৃতীয়াংশই ঋণ করে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে।

অর্থমন্ত্রী ঋণের কিছু উৎসের কথাও তাঁর প্রস্তাবনায় উল্লেখ করেন। যার মধ্যে বিদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা ঋণ করা হবে বলে তিনি জানান।

এছাড়া অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ৭৬ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে । আর বাজেটে সম্ভাব্য বৈদেশিক অনুদান পাওয়ার পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।

অর্থনীতির পরিভাষায়, সাধারণত কোনো দেশে যদি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যায়, তাহলে সেখানকার অর্থনীতিতে বাইরে থেকে আসা তারল্য যোগ হয়। ফলে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া সেই ঋণের জন্য সরকারকে সুদও গুণতে হয়। ফলে দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply