fbpx

ঘুচলো ৫৫ বছরের দূরত্ব, চালু হলো চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

শেষ হলো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক ভার্চুয়াল বৈঠক।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) এই বৈঠক শেষে ৫৫ বছর পর খুলে দেওয়া হয় চিলাহাটি-হলদিবাড়ির রেলপথ। একই সঙ্গে রেলসংযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা হয়।

আপাতত এই পথ দিয়ে মালবাহী ট্রেন চললেও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২৬ মার্চ থেকে চালু হবে যাত্রীবাহী ট্রেন।

ব্রিটিশ আমল থেকে অবিভক্ত ভারতে এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম ছিল চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুট। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে এই রেল রুটটি বন্ধ হওয়ার আগে এ পথে দার্জিলিং থেকে খুলনা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত নিয়মিত যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করতো।

এছাড়া দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত এবং এক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহাত্মা গান্ধীর ওপর একটি প্রোমো দেখানো হয়।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হয়। এখানে ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নয়াদিল্লি থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অংশ নেন।

বৈঠকের শুরুতে নরেন্দ্র মোদী শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘সুসম্পর্কের বিষয়ে তার সরকার বাংলাদেশকে সবসময় প্রাধান্য দেয়। তারা সব ধরনের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’

এর প্রতিউত্তরে শেখ হাসিনা তাকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক নির্ভরতা আমরা আনন্দের সঙ্গে স্বীকৃতি দিই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত অতিক্রম করছে। একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশ ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এবং ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠারও ৫০তম বছরে পা রেখেছে। এছাড়া আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি।’

মোদীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র কয়েক মাস আগে, আপনাদের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি। বাংলাদেশে আমরা বাপুজির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে একটি বিশেষ ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছি। আমরা আজ বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ভারতের ডাক বিভাগের একটি স্ট্যাম্পের উদ্বোধন করবো।’

করোনা মহামারি মোকাবিলায় ভারত সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত ও জনবহুল অঞ্চলে কোভিড-১৯ যেভাবে আপনার সরকার মোকাবিলা করেছে, তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

ঘুচলো ৫৫ বছরের দূরত্ব, চালু হলো চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ

৫৫ বছরের বন্ধ পথ খুলে গেলো। ছবি : ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন

এছাড়া করোনা পরিস্থিতি ভালো থাকলে আগামী ২৬ মার্চ নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশে উপস্থিতি থাকার জন্য অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে ভার্চুয়াল বৈঠকের অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, জ্বালানি, কৃষিসহ সাতটি খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে সংশ্লিষ্ট সাত মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সচিব এবং ভারতের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এসব স্মারকে সই করেন।

দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- নয়াদিল্লি জাদুঘরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সহযোগিতা, হাইড্রোকার্বনে সহযোগিতার বিষয়ে রূপরেখা, কৃষি খাতে সহযোগিতা, হাতির সুরক্ষায় অভয়ারণ্য নিশ্চিত করা, হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প চালু, বাংলাদেশ-ভারত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফোরামের ট্রাম্প অব রেফারেন্স এবং বরিশালে সুয়ারেজ প্রকল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply