রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বিলাসবহুল প্যালেসের ভিডিও প্রকাশ করেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দলের নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির একটি টিম। এটি নাভালনিরই করা একটি ডকুমেন্টারি। এতে দাবি করা হয়, প্যালেসটির মূল্য ১৩৭ কোটি ডলার। এবং এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঙ্কের ঘুষ হিসেবে পুতিনকে দেয়া অর্থ।
ডকুমেন্টারিতে দাবি করা হয়, রিসোর্ট শহর গেলেন্দজিকে বানানো পুতিনের প্যালেসটির অর্থায়ন করেছে প্রেসিডেন্টের কিছু ঘনিষ্ঠরা। তাদের মধ্যে তেল কোম্পানির প্রধান ও বিলিয়নিয়াররা রয়েছেন।
ক্রেমলিনের দাবি এই প্যালেসের মালিক পুতিন নন। ছবি : সংগৃহীত
নাভালনি এই ভিডিওতে বলেন-‘রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস -এফএসবি এই প্যালেসটি ঘিরে ৭০ বর্গ কিলোমিটার জমির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।’
গত ১৯ জানুয়ারি ইউটিউবে প্রকাশিত ডকুমেন্টারিটি ৩ দিনের মধ্যেই প্রায় ৭ কোটিবার দেখা হয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি, বার্লিন থেকে রাশিয়ায় ফেরার পরপরই মস্কো বিমান বন্দর থেকে তাকে আটক করা হয় নাভলনিকে। এর দুই দিন পরেই এটি প্রকাশ করে তার টিম।
তবে, ক্রেমলিনের দাবি এই প্যালেসের মালিক পুতিন নন। কৃষ্ণ সাগরের উপকূল সংলগ্ন বিশাল প্যালেসটি সরকারি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পাহাড়া দিচ্ছেন এমন দাবিও উড়িয়ে দিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
দাবি করা হয় প্যালেসটির অর্থায়ন করেছে প্রেসিডেন্টের কিছু ঘনিষ্ঠ লোক।
ছবি: সংগৃহীত
নাভালনির ডকুমেন্টারিতে দাবি করা হয় এই সম্পত্তির এলাকা ইউরোপের দেশ মোনাকোর চেয়ে ৩৯ গুণ বড়।
