চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল। আশেপাশের এলাকায় অবস্থিত ফার্মেসিগুলোতে বার্ন ক্রিমের তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
শনিবার রাত ৩টার পর থেকে কোনো ফার্মেসিতেই অগ্নিদগ্ধের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ক্রিম ও ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পাশে অবস্থিত ফার্মেসিগুলোর ওষুধ বিক্রেতারা জানান, বার্ন রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত সব ধরনের ক্রিম তাদের কাছে ছিল। কিন্ত রোগী আসা শুরু হওয়ার পর থেকেই এটার সংকট দেখা দেয়। এমনকি এখন নরমাল স্যালাইন, ব্যান্ডেজেরও সংকট দেখা দিচ্ছে। এসব ছাড়া চোখের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকটও দেখা দিচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
চমেকের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অলমোস্ট সবাই যেহেতু বার্ন রিলেটেড সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছে, তাই এই ধরনের ক্রিমেরই প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন ছিল। তাই তৎক্ষণাৎ একটু শর্ট পড়তে পারে।’
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বি এম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়। আর আহত হয়েছেন কমপক্ষে দুই শতাধিক।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর তাদের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে। কিছু পরে সেখানে যোগ দেয় আরও সাতটি ইউনিট। ভোরের দিকে আশপাশের জেলা থেকে পাঁচটিসহ ১০টি ইউনিট যোগ দেয়, তবে বিস্ফোরণ অব্যাহত থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আশপাশে যেতে পারেননি দীর্ঘক্ষণ। এর সঙ্গে যোগ হয় পানির স্বল্পতা।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ডিপোটির কনটেইনারে থাকা বিদেশ থেকে আমদানি করা হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কারণেই এমন বিস্ফোরণ ঘটেছে।