fbpx

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যত অভিযোগ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে নির্বাচন নয়, এখানে আওয়ামীলীগ-এর বদলে নির্বাচন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আমীর খসরু আরও বলেন, আজ কোনো ‘নির্বাচনই হয়নি-ফল প্রত্যাখ্যানের কী আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্বারা তাদের এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগও করেন তিনি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ হবার পর, বিএনপির নগর কার্যালয়ের সামনে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আমীর খসরু মাহমুদ।

আওয়ামী-লীগ বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে৫০০ কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে অভিযোগ এনে আমীর খসরু মাহমুদ জানান, পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর হাত ভেঙে দেয়াসহ অনেক প্রার্থীকে মারধর ও ভোট ডাকাতির সঙ্গে চরম নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে আওয়ামী-লীগ বলেও জানান খসরু। নির্বাচন কমিশন (ইসি) দায়ি করে বলেন, তারা সরকারের তাবেদার হিসেবে কাজ করেছে।

এটি বিএনপির শেষ নির্বাচন কি না, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী  বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর ২০টি মামলা দিয়ে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এখনো বাড়ি ফিরতে পারছেন না নেতা-কর্মীরা। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে হালিশহরের ওসি নিজে সব কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিয়েছে।’

ইভিএম নিয়ে অভিযোগ করে আমির খসরু মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে মক পরীক্ষামূলক ভোটের নামে ইভিএমে জালিয়াতি করা হয়েছে। আগে রাতে ব্যালটের ভোট চুরি করেছে। এবার ইভিএমেও রাতে ভোট চুরি করেছে। কয়েকটি কেন্দ্রে আগের রাতে ইভিএম চালু করে ভোট দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো কেন্দ্রে ইভিএমে ধানের শীষ প্রতীকের বোতাম ছিল না। কোনো কেন্দ্রে ধানের শীষে ভোট দিলে আম প্রতীকে চলে গেছে।’

এর আগে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়, প্রশাসন যন্ত্রের সঙ্গে নির্বাচন হয়েছে। সব এজেন্ট প্রশাসনের সামনে অসহায় ছিল। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কারও সহায়তা পায়নি। প্রতি কেন্দ্রে বহিরাগত জড়ো করা হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে সাধারণ ভোটাররা কেউ কেন্দ্রে আসতে পারেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে ভোট ডাকাতির ইতিহাস উন্মোচিত হয়েছে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply