fbpx

চরের মানুষের উন্নয়নে চর বোর্ড গঠনের সুপারিশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশের মোট ভূমির প্রায় ১০ শতাংশ চরভূমি। চরে যারা বসবাস করেন তাদের বেশির ভাগই কৃষিজীবী ও মত্স্যজীবী। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে যারা বিরাট অবদান রেখে চলেছেন। চরের মানুষের উন্নয়নে একটি চর বোর্ড গঠনের পাশাপাশি চরভূমি ব্যবহারের একটা নীতিমালা দ্রুত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে চরের প্রকৃত ভূমিহীনদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করে ডাটাবেস করতে হবে এবং চরের কৃষক ও কৃষাণীদের জন্য কৃষি কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে।

গবেষণাভিত্তিক সংগঠন সমুন্নয় এবং চরের মানুষের উন্নয়নে কর্মরত জোট ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের উদ্যোগে ‘চরের মানুষের জন্য ভূমি: সংস্কার ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক এক সংলাপে এ কথা বলেন বক্তারা। গতকাল রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সংলাপে ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, এমপি। সংলাপ অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নানাভাবে চরের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। আমি হয়তো এমপি আছি আমি খাসজমি দখল করছি, আমি কোনো এনজিও মালিক আছি আমি দখল করছি, আমি অধ্যাপক আছি আমি চরের খাসজমি দখল করছি। যারা এসব করে তারা অনেক শক্তিশালী, এরা মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে আছে। মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে বুঝিয়ে এসব খাসজমি উদ্ধার করতে হবে। এখন কিন্তু আমরা ঔপনিবেশিক আমলে বসবাস করছি না। একই চক্র হাজার হাজার বিঘা জমি দখল করবে এটা হতে পারে না।

ড. আতিউর রহমান বলেন, চরের বেশির ভাগ কৃষক এক ধরনের অনানুষ্ঠানিক লিজের ভিত্তিতে চরের ভূমিতে চাষবাস করেন। ওই ভূমিতে তাদের মালিকানার সে অর্থে কোনো আনুষ্ঠানিক আইনি ভিত্তি নেই। ফলে তাদের মধ্যে একটি ভরসার অভাব কাজ করে। চরের কৃষকদের অধিকারকে একটি আনুষ্ঠানিক চেহারা দেয়াটা তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি হলে চরের মানুষের জীবন-জীবিকার আরো উন্নয়ন ঘটবে। এ বিষয়ে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে কিছু কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বাজার অর্থনীতি বর্তমানে এক নয়া বাস্তবতা সৃষ্টি করেছে। এক্ষেত্রে চরের জমির ‘অপারেশনাল’ অধিকারের বাস্তবতাকে মানতেই হবে। বরং চরের মানুষের ভূমি অধিকারের প্রশ্নটির সমাধানের জন্য আমাদের তাত্ত্বিক সমাধানের দিকে না গিয়ে নিজস্ব অভিজ্ঞতানির্ভর একটি পথনকশাই দাঁড় করানো উচিত।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবীর, কৃষিবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, এমপি, নারী ও শিশুবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য লুত্ফুন্নেছা খান, এমপি এবং আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শোয়েব সাজ্জাদ খান। সমাপনী বক্তব্য রাখেন সমুন্নয়ের সচিব শাহীন উল আলম। সংলাপ সঞ্চালনা করেন ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব জাহিদ রহমান।

Advertisement
Share.

Leave A Reply