উৎসবমুখর পরিবেশে ৬২ পৌরসভায় চলছে ভোট গ্রহন। শীত উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকেই ভোটারদের উপস্থিতি বেড়েছে।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় তৃতীয় ধাপে ৬২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই ধাপে সম্পূর্ণ ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এবার পুরুষ ভোটারদের পাশাপাশি নারী ভোটাররাও সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন। এতো সকালে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া নিয়ে নারী ভোটারদের মন্তব্য হলো, তারা দ্রুত সুষ্ঠুভাবে ভোট দেয়ার জন্যই শীতের মধ্যেও ভোটকেন্দ্রে হাজির হয়েছেন।
এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রথম দুই ধাপের নির্বাচনে গোলযোগ-সংঘর্ষ হওয়ায় এবারের পৌর ভোটে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমরাও থাকছেন। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সব ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বরাবরের মতো ভোট নেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয় নির্বাচন কমিশন থেকে।
বরাবরের মতো এবারও মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে। তবে, ৬৪ পৌরসভায় ভোটের তফসিল হলেও আইনগত জটিলতা থাকায় পাবনার সুজানগর পৌরসভার ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে, কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভায় মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে শনিবার ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না। কারণ, তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেখানে নির্বাচিত হয়েছেন।
ইসি সূত্র জানায়, এবারের ধাপে ৬২টি পৌরসভায় ২২৯ জন মেয়র পদে, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৫৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৩৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মোট ৩ হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী তৃতীয় ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এরইমধ্যে, এই ধাপে ৩৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন।
এবার নির্বাচনে ৬২টি পৌরসভায় ৬২জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে মোট পাঁচ দিনের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগের দুই দিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরের দুই দিন তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে, ২৮ ডিসেম্বর দেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয়। দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি ভোট হয় ৬০টি পৌরসভায়। পরবর্তীতে চতুর্থ ধাপে ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে ৫৬টি পৌরসভার ভোট এবং পঞ্চম ধাপে ৩১টি পৌরসভায় ভোট হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
