fbpx

চলতি মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে আমন, থাকবে না খাদ্য সংকট

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চলতি মৌসুমে রংপুরে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলায় এবার আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। যার ফলে জেলার মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টনের বেশি আমন ধানের চাল বিভিন্ন জেলার খাদ্য চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা।

তবে কৃষক বলছেন, বর্তমান বাজারে সব কিছুর দাম চড়া। তাই তারা জমি চাষে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছিলেন। এছাড়া সার,-ডিজেল ও সেচসহ ধান চাষে অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়েছে। তাউ বর্তমান বাজারে ধানের দাম অনুযায়ী উৎপাদন খরচ উঠবে না বলে আশঙ্কা করছেন তারা। আর সরকার নির্ধারিত দামে ধান বিক্রি হলে তাতে পোষাবে না কৃষকদের বলেও জানান তারা।

কৃষকেরা আরও বলছেন, কৃষি কর্মকর্তারা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান না কিনে বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান-চাল কেনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। ফলে ন্যায্যমূল্য পান না কৃষকেরা। প্রতি বছর কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে ব্যবসায়ীরা চাল বানিয়ে সরকারি খাদ্যগুদামে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। অথচ কৃষকরা ধান বিক্রি করতে গেলে খাদ্য কর্মকর্তারা নানা অজুহাত দেখান। ওসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ফলে এবারও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন জেলার কৃষকরা।

এদিকে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্র অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে রংপুরে আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৩৬ হেক্টর জমি। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ধান চাষ হয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়ে

গতকাল মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) পর্যন্ত জেলার আট উপজেলায় ২৬ শতাংশ ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে। এতে প্রতি হেক্টরে সাড়ে পাঁচ মেট্রিক টন করে ধান এবং সাড়ে তিন টনের বেশি চাল পাওয়া গেছে। সে হিসাবে এবার চাল উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চার লাখ ৮৩ হাজার মেট্রিক টনের বেশি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply