fbpx

চার ব্যক্তি জাপটে ধরে অপহরণ করেন, দাবি রহিমা বেগমের

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গত ২৭ আগস্ট রাতে পানি আনতে গিয়ে অপহৃত হয়েছিলেন রহিমা বেগম। চার ব্যক্তি তাকে জাপটে ধরে নাকে রুমাল চেপে ধরেন। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে আর কিছু মনে নেই তার- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

রবিবার বিকেলে পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

নিখোঁজের ২৯ দিন পর ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করা হয় রহিমা বেগমকে। এরপর তাকে খুলনা নগরের দৌলতপুর থানায় আনা হয়। শনিবার দিনগত রাত ২টায় পুলিশ সুপার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রহিমা বেগম অপহৃত হয়েছেন বলেই দাবি করেছেন।

তিনি বলেছেন, তাকে চারজন মিলে অপহরণ করে নিয়ে যান। কিন্তু তারা কারা বা কোথায় নিয়ে যান, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেননি। একপর্যায়ে তারা সাদা (খালি) স্ট্যাম্পে কিছু স্বাক্ষর নেন। স্বাক্ষর নেওয়ার পর তাকে একটা নির্জন জায়গায় ছেড়ে দেন। কিন্তু জায়গাটা কোথায় সেটা তিনি বুঝতে পারেননি। এরপর তিনি মনি নামের একটি মেয়ের বাড়িতে ছিলেন। তবে সেই মেয়ের বাড়ি কোথায় তিনি বলতে পারছেন না। এরপর ওই মেয়ে তাকে এক হাজার টাকা সংগ্রহ করে দেন। পরে তিনি গোপালগঞ্জের মকসুদপুরে চলে আসেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, যখন যেখানে ছিলেন, রহিমাকে তারা কাপড়চোপড় দিয়েছেন। সেগুলো তিনি সংগ্রহে রেখেছিলেন। মুকসুদপুর থেকে তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আসেন। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর তার বাড়ির ২৮ বছর আগের ভাড়াটিয়া আবদুল কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে যান। তিনি ভেবেছিলেন, সেখানে গেলে আশ্রয় পাওয়া যেতে পারে।

রহিমা বেগম কেন খুলনায় না গিয়ে ফরিদপুরে গেলেন, পুলিশ সেটি জানতে চাইলে তিনি জানান, খুলনায় আসতে ভয় পেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, কুদ্দুসের বাড়ি যাওয়ার পর মেয়েদের খবর দেবেন। এরপর মেয়েদের সঙ্গে চলে যাবেন।

পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, সৈয়দপুরে অবস্থানকালে ঘটনাটি আলোচিত হলে ওই এলাকার একটি ছেলে বিষয়টি স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নজরে আনেন। ওই জনপ্রতিনিধি বিষয়টি খুলনার দৌলতপুরের এক কাউন্সিলরকে জানান। তিনি ঘটনাটি দৌলতপুর থানা-পুলিশকে জানান। এরপর দৌলতপুর থানার পুলিশ শনিবার ওই এলাকায় গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

পুলিশ সুপার জানান, রহিমা বেগমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে তিনি জবানবন্দি দেবেন। এরপর আদালতের সিদ্ধান্ত মতো কার্যক্রম চলবে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার বাসার উঠানের নলকূপে পানি আনতে যান রহিমা বেগম। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এর পরদিন অর্থাৎ ২৮ আগস্ট তার মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply