fbpx

চাল ও মাংসের দাম কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাজারে নতুন চাল ওঠায় কমতে শুরু করেছে চালের দাম। গেল মাসেও যেখানে কেজিতে মোটা চাল ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, এখন তা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকার আশপাশে। একইসঙ্গে মাঝারি ও সরু চাল পাওয়া যাচ্ছে আগের চেয়ে কম দামে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ শেষে সব ধরনের মাংসের দামও কমেছে। তবে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। আর সবজির দাম আগের মতোই আছে।

এর আগে বেশ কিছু সময় ধরে বাজারে চালের দাম ছিল চড়া। মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মাঝারি চাল ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা এবং সরু চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে এখন বোরো ধানের চাল বাজারে আসতে শুরু করায় চালের দামও কমতে শুরু করেছে।

খুচরা বাজারে নতুন মৌসুমের মোটা চাল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকা, বিআর আটাশ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা এবং মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে আমনে উৎপাদিত নাজিরশাইল চাল ৬২ থেকে ৬৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ঈদের আগে বেশি দামে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি এবং গরু ও ছাগলের মাংসের দাম কিছুটা কমেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা কম থাকায় এখন মাংসের দাম কিছুটা কমেছে। সামনে মুরগির দাম আরও কমতে পারে। তবে গরু ও ছাগলের মাংসের দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম, জানিয়েছে মাংস ব্যবসায়ীরা।

বাজারে গরুর মাংস ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগের দিন যা বিক্রি হয় ৬৫০ টাকায়। এছাড়া খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ঈদের আগে যার দাম ছিল ৯৫০ টাকা।

বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। ঈদের আগে যার দাম ছিল ১৬০ টাকা। আর সোনালি মুরগি ঈদের আগে যেখানে ৩২০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে, তা এখন পাওয়া যাচ্ছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকায়।

ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে লাল লেয়ার মুরগি। আগের মতো লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।

বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে খোলা ও প্যাকেট উভয় ধরনের চিনি। খোলা চিনির কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৭৬ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ টাকা কেজিতে।

সয়াবিন তেলের দামও চড়া। বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। আর বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা।

এদিকে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ঈদের আগে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। আর খুচরা বাজারে এখন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা দরে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় তা বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

তবে সবজির দাম বেশ নাগালে আছে। বাজারে ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুনের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শসার কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটলের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ঝিঙের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউয়ের পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুরলতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply