চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে রাখতে চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে কেউ অবৈধভাবে চাল মজুত করলে ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
সোমবার (৩০ মে) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিসভায় দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। ভোজ্যতেলের পর এবার চালের বাজারেও জোরদার অভিযানে নামছে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অভিযোগ আছে, মিলাররা ধান-চাল মজুদ রাখছেন। একইভাবে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও মেমোরেন্ডাম অ্যাসোসিয়েশনের নীতির বাইরে গিয়ে ধান-চালের ব্যবসায় নেমেছেন। তারা প্যাকেটজাত আকারে সেগুলো বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক বাড়তি দামে বিক্রি করছেন। এতে চালের ক্রয়ক্ষমতা ভোক্তার সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এ ধরনের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘চালের দাম ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এবং সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত জোরদার অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, যেসব কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান মেমোরেন্ডাম অ্যাসোসিয়েশনের বাইরে গিয়ে অবৈধভাবে চালের ব্যবসায় নেমেছেন কিংবা খোলাবাজার থেকে ধান কিনছেন তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’
আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাণিজ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্যসচিব, খাদ্যসচিব ও কৃষিসচিবকে একসঙ্গে বসে করণীয় নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ভোজ্যতেলের বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার যেভাবে ড্রাইভ দিয়েছে, ঠিক একইভাবে চালের বাজারে সেই জোরদার ড্রাইভ দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী- এমনটি জানান সচিব।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আজ পুরো কেবিনেটে আলোচনার বিষয় ছিল চাল এবং তেল। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সব সদস্যরাও বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন। পরে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত হয় যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সার্ভে করে কার কাছে কি পরিমাণ ধান এবং চাল মজুদ রয়েছে এবং মজুদ সীমা কতটা লংঘন করা হয়েছে সেটি পর্যালোচনা করে দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। অবৈধভাবে চাল মজুদকারীদের ছাড় না দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’