fbpx

চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও পানি সরবরাহ করা সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশের বিশাল পানি সম্পদের যথাযথ ব্যবস্থাপনায় দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও পানি সরবরাহ করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সম্পদ যদি আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে আমাদের দেশের মানুষের এই কষ্ট কোনদিনই হবে না। বরং আমরা বিশ্বকে পানি সরবরাহ করতে পারব। আমাদের সেই বিষয়টা মাথায় রেখেই কাজ করতে হবে।’

সোমবার ‘বিশ্ব পানি দিবস’ উপলক্ষে ঢাকার গ্রিন রোডে পানি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

সবাইকে পানির অপচয় বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো সম্পদই যে অফুরন্ত নয়, আর তার ব্যবস্থাপনায় যে সরকারকে খরচ করতে হয়। আমরা সকলের কাছে একটা আহ্বান জানাব, এই যে ঢাকা শহরে আমরা পানি দিই বা সেই সাথে বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনসহ উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত আমরা পানি পরিশুদ্ধ করে পাইপে সরবরাহ করার ব্যবস্থা নিয়েছি, এগুলো করতে কিন্তু অনেক খরচ হয়। কাজেই পানির অপচয়টা বন্ধ করতে হবে।’

এসময় তিনি নির্মাণ কাজ, গৃহস্থালী বা বাসার গাড়ি ধোয়া- সব কাজেই পানি ব্যবহারে সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অপচয় করলে কোনো সম্পদই থাকে না শেষ পর্যন্ত। কাজেই আমাদের যে অমূল্য সম্পদটা রয়েছে, এই সম্পদটা আমরা কীভাবে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে পারি, বা ভবিষ্যত বংশধররা ব্যবহার করতে পারে, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।’

শেখ হাসিনা এসময় ভূগর্ভের পানির স্তর কমে যাওয়ায় শহর এলাকায় বৃষ্টির পানি যাতে মাটি দিয়ে আবার ভূগর্ভে পৌঁছাতে পারে, সে দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের কথাও বলেন।

ঢাকা শহরে নদীর পানি শোধন করে সরবরাহ করার পাশাপাশি জেলা উপজেলা পর্যায়েও নদীর পানি পরিশুদ্ধ করে সেই পানি পাইপের মাধ্যমে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির অতি ব্যবহার ঝুঁকি তৈরি করবে। আমরা ভূগর্ভস্থ পানি বেশি ব্যবহার করে ফেলি, তাহলে কিন্তু আমাদের ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখা দেবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বর্ষাকালে পানি ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা- এই পদক্ষেপটা আমাদের সব সময় নিতে হবে। তবেই আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরতা কমে যাবে।

যত্রতত্র বাঁধ নির্মাণ না করার নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে এবং নৌ বাণিজ্য বাড়াতে নদী খননের ওপর গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply