fbpx

চিড়িয়াখানায় প্রাণের সঞ্চার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

লকডাউনের কারনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় জাতীয় চিড়িয়াখানার বৈচিত্রময় রূপে যোগ হয়েছে সবুজ প্রকৃতি ও সতেজ বাতাস। সেই নির্মল বাতাসে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরেছে প্রাণীদের মাঝেও। বাড়ছে প্রজনন।

চিড়িয়াখানার প্রাণ দর্শনার্থীরাই। সেই দর্শকরাই মাঝে মাঝে প্রাণীদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খাবার ছুঁড়ে মারা অথবা প্রাণীদের কাছাকাছি গিয়ে শব্দ করে তাদেরকে খোঁচানোর মতো অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে অনেকদিন মুক্ত থাকতে পেরে যেনো হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে খাঁচায় বন্দি পশুপ্রাণীগুলো।

লকডাউনের এই সময়টাতে অন্যান্য দায়িত্ব কম থাকায় প্রাণীদের খাবার, পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং তাদের প্রজননের প্রতি বেশি যত্ন নেওয়ার সুযোগ পাওয়া গেছে, জানালেন চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ।

রাজধানীর মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক আবদুল লতিফ বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘১৮৬ একর জায়গাতে ১৩৫ প্রজাতীর প্রাণী, ৩ হাজার ১৫০ টি বন্য প্রাণী আছে। ৪ মাসের লকডাউনে জিরাফ, জেব্রা, ময়ুর, ইমু পাখি, হরিন, ইমপালাসহ বেশ কিছু প্রাণীর বাচ্চা হয়েছে। তারা সবাই ভালো আছে। আমরা অনেক যত্ন করে তাদের বড় করছি। আলাদা শেডে রেখে, খাবার ও শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

প্রজনন বেড়ে যাওয়ায় স্থান সংকুলানে হিমশিম খেতে হচ্ছে জানিয়ে চিডিয়াখানা পরিচালক বলেন, ‘যেসব প্রাণীর বাচ্চা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগেরই জায়গা হচ্ছে না নির্ধারিত ঘরে। চিত্রা হরিণ ও ময়ূর ছাড়া কোন প্রাণী বিক্রি করার সুযোগ নেই। বাকি প্রাণীগুলোকে দেশ বা বিদেশের অন্যান্য চিড়িয়াখানার সাথে অদলবদল করার সুযোগ আছে। আশা করছি তাতে দেশি বিদেশি প্রাণীতে আরও সমৃদ্ধ হবে চিড়িয়াখানা।

চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা এলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে, অর্থাৎ শতভাগ মাস্ক পড়া, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে, ফুটপাতে, পা রেখে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে এবং সেন্ট্রাল মনিটরিং ছাড়াও প্রতিটি পয়েন্টে স্বেচ্ছাসেবক রাখা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply