fbpx

চীনকে তাতিয়ে দিয়ে তাইওয়ান ছাড়লেন পেলোসি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু বিতর্কিত সফর শেষ করে তাইওয়ান ছেড়েছেন। বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

পেলোসি গত ২৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক যিনি তাইওয়ান সফর করলেন। রাজধানী তাইপেতে দেশটির শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠকের পর বুধবার দুপুরে তাইওয়ান ত্যাগ করেন তিনি।

তবে এশিয়ার কয়েকটি দেশ সফরের অংশ হিসেবে তার এই তাইওয়ানে আগমনকে চীন মোটেই ভালোভাবে নেয়নি কারন বেইজিংয়ের উপুর্যুপরি সতর্কতা উপেক্ষা করেই দ্বীপ দেশটি সফর করেন পেলোসি।

তাইওয়ান স্ব-শাসিত কিন্তু চীন দ্বীপটিকে একটি বিচ্ছন্ন প্রদেশ হিসেবে গণ্য করে যেটি একসময় মূল ভূখন্ডের সঙ্গে একীভূত হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস তাদের।

বুধবার এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, “যারা আগুন নিয়ে খেলা করে তাদের পরিণতি কখনই ভালো হবে না এবং যারা চীনকে ক্ষুব্ধ করে তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে”।

তিনি আরো বলেন, “তথাকথিত গণতন্ত্রের আড়ালে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে।”

তাইওয়ান নীতি নিয়ে এক আঁটসাঁট কূটনীতি অনুসরন করে যুক্তরাষ্ট্র।

একদিকে দেশটি “এক চীন” নীতি অনুসরন করে যার মাধ্যমে তারা একটি মাত্র চীনা সরকারকে স্বীকৃতি দেয়, এবং এর ফলে ওয়াশিংটনের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বেইজিংয়ের সাথে তাইওয়ানের সাথে নয়।

অন্যদিকে, একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে একটি “বলিষ্ঠ অনানুষ্ঠানিক” সম্পর্ক বজায় রাখে, যেখানে দ্বীপ দেশটির আত্মরক্ষার জন্য তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রিও অন্তর্ভূক্ত।

প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হিসেবে ন্যান্সি পেলোসি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় পদাধিকারী ব্যক্তি, অর্থ্যাৎ ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের পরই তার অবস্থান।

পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় চীন ঘোষনা করেছে, তারা তাইওয়ান থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে সাগরে “প্রয়োজনীয় ও ন্যায্য” সামরিক মহড়া করবে।

পৃথিবীর কয়েকটি ব্যস্ততম সমুদ্রপথে এই মহড়া বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) শুরু হয়ে ৫ দিন চলবে এবং এতে “দূর পাল্লার তাজা গোলাবারুদ নিক্ষেপ করা হবে”।

এক মার্কিন কর্মকর্তা বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, পেলোসির তাইওয়ান সফরের ইস্যুটিকে চীন উত্তেজনা বৃদ্ধির কাজে ব্যবহার করতে চাইতে পারে। আর চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সান লাই-ফ্যাং স্বীকার করেন, সামরিক মহড়ার কিছু অনুশীলন তাইওয়ানের পানিসীমা লঙ্ঘন করতে পারে।

তাইওয়ান “ইচ্ছাকৃত উত্তেজনাপূর্ণ সামরিক হুমকি” মোকাবেলা করছে উল্লেখ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, তার দেশ “পিছিয়ে আসবে না এবং আত্মরক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যা যা প্রয়োজন তাইওয়ান তাই করবে”।

Advertisement
Share.

Leave A Reply