তিনজন নভোচারীসহ চীন প্রথমবারের মতো নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি মহাকাশ স্টেশনে রকেট পাঠালো। নতুন মহাকাশ স্টেশনে এটি তাদের প্রথম মনুষ্যবাহী রকেট মিশন। চীনের মহাকাশ সংস্থা এ খবর জানায়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) চীনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২২ মিনিটে জিকুয়ান স্পেস সেন্টার থেকে শেনঝু-১২ ক্যাপসুল নিয়ে ‘লং মার্চ টুএফ’ রকেটের মাধ্যমে তিন চীনা নভোচারী সফলভাবে যাত্রা শুরু করেন। মহাকাশ গবেষণা কর্মকর্তা, সামরিক কর্মকর্তা ও শিশুরা এ সময় নভোচারীদের শুভেচ্ছা ও বিদায় জানায়।
এর আগে, গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সি (সিএমএসএ) চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গোবি মরুভূমির জিকুয়ান স্পেস সেন্টার থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করার কথা জানায়।
চীনের মহাকাশ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চীনের প্রথম স্পেস সেন্টার তিহানহি’তে অভিযানের ওই তিন নভোচারী তিন মাসের জন্য অবস্থান করবেন। সেন্টারটি গত ২৯ এপ্রিল মহাকাশে স্থাপন করা হয়েছে। এ সময়ে তারা সেখানে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা, মেরামত কাজসহ সেখানে আরো দু’টি মডিউল যোগ করার জন্য প্রস্তুত করে তুলবে। মহাকাশ স্টেশনে তাদের প্রত্যেকের থাকার আলাদা মডিউল রয়েছে। তবে বাথরুম, ডাইনিং, ডাউনিং এরিয়া ও যোগাযোগ কেন্দ্র ভাগাভাগি করে তাদের ব্যবহার করতে হবে।
এই মিশনটি পরিচালিত হচ্ছে পিপলস লিবারেশন আর্মির এয়ারফোর্স পাইলট নেই হেইশিংয়ের নেতৃত্বে। আরো দু’টি মহাকাশ ফ্লাইট মিশনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। মিশনের অন্যরা চীনা সামরিক বাহিনীর সদস্য।
Here is a timeline of key moments in Chinese space exploration https://t.co/W23PL77n5N pic.twitter.com/ajfVvCepJH
— Reuters (@Reuters) June 17, 2021
তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনটির নির্মাণ কাজ আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই কার্যকর হবে বলে মনে করছে চীন। সেই লক্ষ্যে আগামী দেড় বছরের মধ্যে আরও অন্তত ১১টি মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডা, ইউরোপ ও জাপানের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস) চীনের ব্যবহারে বাধা দেয় ওয়াশিংটন। এ ঘটনায় চীন ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেই মহাকাশ কেন্দ্র তৈরি করে।
২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তবে, ২০২৮ সাল পর্যন্ত একে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে নাসা। আগামী ১০ বছর ‘আইএসএসে’র চেয়ে অনেক ছোট ‘তিয়াংগং’ তার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।