শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান লাভের সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যে শীঘ্রই চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) এর ষষ্ঠ আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করবে হুয়াওয়ে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) চুয়েট ক্যাম্পাসে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে এর দক্ষিণ এশিয়া এন্টারপ্রাইজ পার্টনার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক ঝাং চেং (জাস্টিন); দক্ষিণ এশিয়া জনসংযোগ বিভাগের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার নাজিয়া সামান্থা ইসলাম; এবং চুয়েট থেকে এর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির; ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মশিউল হক ও প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন সহ অন্যান্য অনুষদ সদস্যরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম পর্যায়ে চুয়েটের অনুষদ সদস্যদের সার্টিফায়েড ইন্সট্রাক্টর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই আইসিটি একাডেমির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পরবর্তীতে, এই অনুষদ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “আমাদের ক্যাম্পাসে একটি আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সাথে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান বিশ্বের সাথে তাল রেখে সঠিক দক্ষতাসম্পন্ন জনবল তৈরি করার জন্য ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি, এই একাডেমি আমাদের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত বিশ্বের জন্য প্রস্তুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
সাউথ এশিয়া এন্টারপ্রাইজ পার্টনার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ঝাং চেং (জাস্টিন) বলেন, “ডিজিটালাইজেশনের কারণে পৃথিবী দ্রুত বদলে যাচ্ছে। হুয়াওয়ে এই পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত এবং এই কারণে আমরা তরুণ প্রজন্মকে এমনভাবে প্রস্তুত করতে চাই যেন তারা ভবিষ্যতের বিশ্বে উন্নতি করতে পারে। এজন্য যথাযথ আইসিটি দক্ষতাসম্পন্ন জনবল এবং একটি শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। এই আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হুয়াওয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় আমরা চুয়েটে আমাদের ৬ষ্ঠ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি।”