fbpx

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার অন্তিম যাত্রার বন্ধু আল-মারকাজুল ইসলামী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জীবন থেকে ছুটি মিলেছে…অসীমের পানে যাত্রার আগে শেষ গোসল। এই সময়টাতে সাধারণত শোকাতুর স্বজনদের শেষ ছোয়ায় পূর্ণতা পায় আপন জনের অন্তিম যাত্রা। এখন বিরুদ্ধ সময়, করোনা শুধু স্বজন কেড়ে নিচ্ছেনা, কেড়ে নিচ্ছে শেষ স্পর্শের সুযোগও। নির্দিষ্ট দূরত্বে দাড়িয়ে মোড়কবন্দী প্রিয়জনের জন্য অপেক্ষা, চোখের জল শুকিয়ে ক্লান্তি নামে শরীরে। চলমান মহামারিতে মৃত্যুর মিছিল বেশ লম্বা, তাই মারকাজুলেও শেষ গোসলের জন্য লম্বা লাইন। কখন আসবে সিরিয়াল? প্রিয়জনের মরদেহের গোসল শেষে কখন যাবেন বাড়ি? স্বজন হারানোদের শোককে আরও বাড়িয়ে তুলছে এই অপেক্ষা।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাবর রোডের আল মারকাজুল ইসলামের কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে মরদেহবাহী এম্বুলেন্সের ভিড় এখন নিত্যদিনের। একজনের মরদেহ নামাতে না নামাতেই আরেকটি এম্বুলেন্স জানান দেয় নতুন মাতমের। শেষ গোসলের  জন্য আসা যাওয়ার মিছিল এখন ঘণ্টায় ঘণ্টায়।

সংস্থাটির চেয়ারম্যান হামজা শহীদুল ইসলাম বিবিএস বাংলাকে বলেন, ‘সংক্রমণের শুরুর দিকে, করোনায় মৃতদের গোসল ও দাফনে পরিবার ও আত্মীয়দের যখন অনীহা, তখন সব ভয় একপাশে রেখে এগিয়ে এসেছেন মারকাজুল ইসলামের স্বেচ্ছাসেবকেরা। গত দুই মাস ধরে করোনায় মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। তাই গোসল ও মৃত্যুপরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার থেকে পিপিই, গ্লাভস দিলেও বডি ব্যাগ দেয়নি। সেটার ঘাটতি আছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকলে সবকিছু নিয়ে আমরা আরও ক্রাইসিসে পড়ে যাবো।’

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান মামুন বলেন, ‘বাবর রোডের শাখায় শুধু গোসলের জন্য ৬ জন নিয়োজিত। তিন জন ১২ ঘণ্টা শিফটিং করে মরদেহ গোসলের কাজটি করে যান। দাফনের কাজ করার জন্য আলাদা স্বেচ্ছাসেবক আছে। আবার বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়েও আমরা মরদেহ গোসলের কাজটি করে দিয়ে থাকি। সব ধর্মের সৎকারের ব্যবস্থা আছে আল-মারকাজুল ইসলামীতে।’

সাধারণ মৃত্যু, দুর্ঘটনা, করোনা বা হোক অপঘাতে মৃত্যু, মৃতদেহের দাফন কিংবা সৎকারের ব্যবস্থা থাকা ধর্মীয় রীতি এবং নাগরিক অধিকার কোন কিছুর বিনিময়ে বা অর্থ দাবি না করে সব ধর্মের মানুষের জন্য দেশব্যাপি সেই মহামূল্যবান কাজটি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে করে যাচ্ছে আল মারকাজুল ইসলামী।

Advertisement
Share.

Leave A Reply