fbpx

জাতীয় সংসদে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ উত্থাপিত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলে স্ব-শাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা নির্ধারণের ক্ষমতা অর্থ বিভাগের হাতে রাখা হয়েছে। বিলটি পাস হলে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতারে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ১৫, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ও ৪৫ ধারার বিধান ‘স্ব-শাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মচারীগণের জন্য প্রযোজ্য হবে।

সরকারি চাকরি আইনের ১৫ ধারায় বলা আছে, ‘সরকার, সরকারি গেজেটে আদেশ দ্বারা, কোনো সরকারি কর্মচারীর বা সকল সরকারি কর্মচারীর বা সরকারি কর্মচারীগণের কোনো অংশের জন্য বেতন, ভাতা, বেতনের গ্রেড বা স্কেল, অন্যান্য সুবিধা ও প্রাপ্যতা বা অবসর সুবিধা সম্পর্কিত শর্তাদি নির্ধারণ করতে পারবে।’

আইনের ৪১ ধারায় বলা আছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে তাকে গ্রেফতার করতে হলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

৪২ ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর ফৌজদারি মামলায় এক বছরের বেশি সাজা হলে আদালতের রায়ের দিন থেকে চাকরি থেকে বরখাস্ত হবেন।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারি চাকরি আইনে স্ব শাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতাদি নির্ধারণের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের করণীয় সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তাই অর্থ বিভাগ সরকারি চাকরি আইনের বেতন-ভাতা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিধান সংশোধন প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র: বাসস

Advertisement
Share.

Leave A Reply