মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্ম বিডি অ্যাপসকে জাতীয় অ্যাপ স্টোর হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগ ও রবির মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
ফলে এখন থেকে শুধু রবি নয়, যে কোন মোবাইল ফোন অপারেটর অথবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ ডেভেলপাররাও এই প্ল্যাটফর্মটিতে তাদের অ্যাপ জমা দিতে পারবেন। এছাড়া ডেভেলপারদের আয়কর মওকুফ এবং অ্যাপ’র ওপর ভ্যাট বিলুপ্তকরণ নিয়ে আইসিটি ডিভিশন কাজ করবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমিন্ত্রী।
উদ্ভাবনী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিখাতে উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা করতে সরকারের আইসিটি বিভাগের সাথে কাজ করবে রবি। আর বিডি অ্যাপসের মাধ্যমে ডিজিটাল শিক্ষা ও উদ্যোক্তা তৈরির এই কাজটি হবে। বিডি অ্যাপসে স্থানীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলেপাররা তাদের তৈরি অ্যাপ হোস্ট করে তা বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
পাঁচ বছরের জন্য আইসিটি বিভাগ ও রবির সমঝোতা চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। চুক্তির মেয়াদ নির্ধারিত পাঁচ বছরের পরেও প্রয়োজন অনুসারে বৃদ্ধির সুযোগ থাকবে।
প্রধান অতিথি হিসাবে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাদের সমস্ত উদ্যোগ এবং প্রকল্পগুলোর মূল ফোকাস- যুবসমাজ, আইসিটি এবং কর্মসংস্থান। এই চুক্তির মাধ্যমে ডেভেলপাররা আইসিটি বিভাগের বর্তমান প্রশিক্ষণ সুবিধা পাবেন এবং বিডিঅ্যাপসের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন। সরকার বিডিঅ্যাপসের সাথে একত্রিত হয়ে দেশের গতিশীল যুবসমাজকে ডিজিটাল উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করাবে।’
বিডিঅ্যাপস’র আসাধারণ অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অ্যাপ ডেভেলপার হিসাবে ক্যারিয়ার নির্বাচনে সারা দেশের তরুণ প্রজন্ম এবং উদ্যোক্তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হবে বিডিঅ্যাপস।’
শুধু রবি নয় অন্যান্য অপারেটরের গ্রাহকরাও বিডিঅ্যাপসের সাথে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশি ডেভেলপারদের তৈরি উদ্ভাবনী অ্যাপ্লিকেশন উপভোগ করতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই চুক্তির মাধ্যমে বিডিঅ্যাপস অ্যাপ্লিকেশন ডেভালপারদের জন্য আইসিটি বিভাগের হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে যুবসমাজের ডিজিটাল দক্ষতা তৈরিতে সকল আইসিটি বিভাগের প্রতিষ্ঠান; যেমন- হাই-টেক পার্ক, ডিজিটাল ল্যাব এবং অন্য সুযোগসুবিধারও ব্যবহার আরও সহজ হবে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নে তরুণদের উল্লেখযোগ্য অবদান আরও বিস্তৃত হবে।’