fbpx

জানুয়ারিতেই ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু’ উদ্বোধন  

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নতুন এক দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে। খাগড়াছড়ির রামগড়ে ফেনী নদীর ওপর ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১’ এর নির্মাণ কাজ ৫ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা। আর এই মাসেই সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অন্যদিকে এই সেতু নির্মাণ পরপরই শুরু হবে রামগড়ে স্থলবন্দরের নির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যেই স্থলবন্দরের জন্য প্রায় ১০ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজও শেষ হয়েছে।

এই স্থলবন্দর নির্মিত হলে ভারতের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। দু’দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন, কর্মসংস্থান, আমদানি-রফতানিসহ অনেক কিছুর সম্পর্কের উন্নতি হবে। একই সঙ্গে পাহাড়ের মানুষের জীবনেও আসবে নানা পরিবর্তন।

জানা গেছে, দেশের ১৫তম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম স্থলবন্দর হবে রামগড় স্থলবন্দর। এর ফলে রামগড় স্থলবন্দরকে ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের গেটওয়ে হিসেবে মনে করছে ভারত সরকার। ভারতের এই সেভেন সিস্টার হলো- আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা, অরুণাচল, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড এবং মণিপুর।

রামগড়ে এই সেতু নির্মাণের দায়িত্ব ছিল ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তানিশ চন্দ্র আগারভাগ ইনপাকন প্রাইভেট লিমিটেড। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৮২ দশমিক ৫৭ কোটি রুপি।

এই সেতুতে মোট পিলার হবে ১২টি। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে নির্মাণ করা হয়েছে আটটি এবং ভারতের অংশে চারটি পিলার। সেতুতে স্প্যান রয়েছে ১১টি। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে সাতটি ও ভারত অংশে চারটি।

ইতোমধ্যেই আগস্টে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় খাগড়াছড়ির রামগড় থেকে হেয়াকো-বারৈয়াইয়ারহাট সড়কের জন্য ৮৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্পসহ সাতটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটিতে সরকার দেবে ২৬৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৫৮১ কোটি ২০ লাখ টাকা। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। এরই মধ্যে রামগড়-বারৈয়ারহাট সড়কের বেশ কয়েকটি দুই লেনের ব্রিজ নির্মাণাধীন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের জানুয়ারিতে দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে রামগড়-সাবরুম স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে দু’দেশের মধ্যে ট্রানজিট সুবিধা, যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর করা এবং আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১’ নামে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির ভিত্তি প্রস্থর ফলক উন্মোচন করেন। সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর। ২০২০ সালে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply