প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন উজার করে দিচ্ছেন নিজেদের। ভালোবাসার দেশে, ভালোবাসার স্বজনদের জন্য।২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম সাড়ে ছয় মাসে ১ হাজার ৪০২ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত অর্থবছরের তুলনায় যা ৭৭ শতাংশের বেশি। জানুয়ারির ১৪ দিনেই ১০৮ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান জানিয়েছেন, জানুয়ারির ১৪ দিনেই ১০৮ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছে। গত কয়েক মাসের মত জানুয়ারি মাসেও রেমিটেন্সের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার ছাড়াবে বলে আশা করছেন তিনি।
কেন্দ্রিয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারির ১৪ দিনেই প্রবাসীরা মোট ১০৭ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের রেমিটেন্সে পাঠিয়েছেন। গত বছরের জানুয়ারির একই সময়ের চেয়ে যা ৪১ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। গত বছরের এই ১৪ দিনে ৭৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছিল।
গত অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা মোট ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি।
করোনার কারণে বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছিল, মহামারীর ধাক্কায় ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার রেমিটেন্স ২২ শতাংশ কমবে। আর বাংলাদেশে কমবে ২০ শতাংশ।
কিন্ত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেই পূর্বাভাস সত্যি হয় নি। ভারতে রেমিটেন্স ৩২ শতাংশ কমে গেলেও বাংলাদেশে বেড়েছে ১৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
কেন্দ্রিয় ব্যাংক বলছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেশে প্রবাসীরা ২০৫ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে যা ২১ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি।
দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিটেন্স। দেশের জিডিপিতে রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।
বৈধ পথে যাতে প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিটেন্স পাঠায়, এজন্য সরকার ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে।