fbpx

জাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ৪ আনসার সদস্য বহিষ্কার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আনসার সদস্যদের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী নূর হোসেনকে মারধরের ঘটনার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেটের সামনে শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন। পরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন। আশুলিয়া থানা-পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে আধা ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো—মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় বহন, দোষীদের স্থায়ী বরখাস্ত, অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও স্মৃতিসৌধে চলমান অনৈতিক কাজ বন্ধ করা।

জাবির মার্কেটিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, ‘সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হেনস্তা ও মারধরের শিকার হতে হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আনসার সদস্যরা এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে গুরুতর আহত করার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাসায় বসে তামাশা দেখেছে। তাদের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিরুদ্ধে না গিয়ে ছাত্রবান্ধব হওয়া। অবিলম্বে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’

গতকাল সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নূর হোসেন তার দুই ভাগনেকে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতে যান। সেখানকার দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা তাকে স্মৃতিসৌধ এলাকায় প্রবেশে বাধা দেন।

নূর হোসেন বলেন, স্মৃতিসৌধে অনেক দর্শনার্থীকে টাকার বিনিময়ে ঢুকতে দিচ্ছিল দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা। তিনি এর প্রতিবাদ করলে একটি কক্ষে নিয়ে বন্দী করে রাখা হয়। পরে সাত-আটজন আনসার সদস্য তাকে মারধর করেন।

আনসার সদস্যরা নূর হোসেনের ঠোঁট, গলা, তলপেট ও মাথায় আঘাত করেন। এছাড়া লাঠি দিয়ে পা থেঁতলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আহত শিক্ষার্থীর সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

এদিকে এ ঘটনায় চার আনসার সদস্যকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করেছে স্মৃতিসৌধ কর্তৃপক্ষ। তারা হলেন মোহর আলী, ওমর ফারুক, রমজান আলী ও যুগল সরকার।

ঢাকা জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের কমান্ড্যান্ট আফজাল হোসেন বলেন, এই চার আনসার সদস্যকে আজীবন বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তারা যাতে কোথাও কাজ না করতে পারেন, এ জন্য তাদের কালো তালিকায় রাখা হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply