fbpx

জিআই সনদ পাচ্ছে বাংলাদেশের আরও দুই পণ্য

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

খুব শিগগিরই ভৌগলিক নির্দেশক স্বীকৃতি বা জিআই সনদ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশের আরও দুই পণ্য। এই দুই পণ্য হলো বাংলাদেশের ফজলি আম এবং বাগদা চিংড়ি।

উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত ফজলি আমের কথা কেইবা না জানে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও এর সুনাম প্রচুর। তেমনি বাগদা চিংডিও দেশের অর্থনীতিতে বেশ অবদান রাখে। এই মাছ রপ্তানি করে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এসব গুণের কারণে রসালো, আঁশবিহীন ফজলি আম এবং বাগদা  চিংড়ি এই স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

সরকারের পেটেন্টস, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগের রেজিস্টার মো. আবদুস সাত্তার বলেন, ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ির জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গেজেট প্রকাশ করা হয়ে গেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সনদ দেওয়ার কাজ শেষ হতে পারে।

নিয়ম অনুযায়ী স্বীকৃতির জন্য আবেদন আসার পরে এই দুটি কৃষি পণ্যের ভৌগলিক নির্দেশক যাচাই করা হয়েছে, দুটি জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে। দুটি পণ্যের নির্দেশক নিয়ে এখনো কেউ আপত্তি করেনি। জার্নাল প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে এটি নিজেদের বলে কেউ আপত্তি না করলে সনদ দেয়া হবে বলেও জানান সরকারের এই কর্মকর্তা।

জানা গেছে, ফজলি আমের জিআই সনদের আবেদন করেছিল ফল উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র। আর বাগদা চিংড়ির জন্য আবেদন করে মৎস্য অধিদপ্তর।

কেনো এ দুটি কৃষি পণ্য বাংলাদেশের জিআই সনদ পাবে সেটির বিস্তারিত ব্যাখায় মো. আবদুস সাত্তার বলেন, যে পণ্য একটি অঞ্চলের ঐতিহ্যের অংশ সেটির ক্ষেত্রে এই সনদ দেয়া হয়। আবহাওয়া, মাটি, পানি ও ভৌগলিক গঠনের ওপরে যেকোনো কৃষি পণ্যের বৈশিষ্ট্য, ঘ্রাণ ও স্বাদ নির্ভর করে এবং নির্দিষ্ট অঞ্চলেই  সেটা হবে। যেমন এশিয়ার বেশ কিছু দেশে ‘ব্ল্যাক টাইগার শ্রিম্প’ বা বাগদা চিংড়ি পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের এখানে যেটা হয় সেটার বৈশিষ্ট্য অন্য কোনোটার সঙ্গে মিলবে না। অন্য কোথাও চাষ হলেও সেটার স্বাদ ও ঘ্রাণ মিলবে না।‘

তিনি আরও বলেন,’ আমরা দেখেছি যে জিআই সনদ পাওয়ার পর বিদেশের বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম পর্যন্ত বাড়ে। জিআই ট্যাগ ব্র্যার্ন্ডিং হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশ থেকে অনেকে বাগদা চিংড়ি রপ্তানি করছে। জিআই সনদ না থাকলে এর মূল্য কম হয়। ক্রেতারা এটিকে ব্র্যান্ডেড বলে মনে করে না।‘

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত  ৯টি পণ্য জিআই সনদ পয়েছে। সেগুলো হলো- ইলিশ মাছ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম, দিনাজপুরের কাটারিভোগ ও বাংলাদেশি কালিজিরা, জামদানি, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি এবং নেত্রকোনার বিজয়পুরের সাদা মাটি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply