fbpx

জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনে ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর মূল্যস্ফীতির হার ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপন বক্তৃতায় এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, দশ বছরে বাংলাদেশে জিডিপির হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। তবে করোনার কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেকর্ড ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনার কারণে তা কমে ৫ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়ায়। তবে ২০২০-২১ অর্থবছরে করোনার প্রভাব থেকে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার হবে ধরে নিয়ে চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ দশমিক ২০ শতাংশ।

সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ও পুনরায় লকডাউন ঘোষণার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শ্লথ অবস্থা বিরাজমান এবং রফতানি ও আমদানির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত গতি ফিরে পায়নি। তবে প্রবাসী আয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হওয়া এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সরকার ঘোষিত বৃহৎ প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে চলতি অর্থবছরের জিডিপির প্রাক্কলন সংশোধন করে ৬ দশমিক ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংসদে দেশের মাথাপিছু আয় এবং গড় আয়ুর উত্তোরত্তর বৃদ্ধি নিয়েও প্রশংসা করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার। যা বর্তমানে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। আর মানুষের গড় আয়ু ২০০৫-০৬ অর্থবছরের ৫৯ বছর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯-২০ সালে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর।

আ হ ম মুস্তফা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৭৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ এক মিলিয়ন ডলারের কম, যা বর্তমানে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।

২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা, যা বর্তমান অর্থবছরে দশগুণের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও সংসদে জানান তিনি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply