fbpx

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি না গিয়ে ঈদ পালনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনা মহামারির এ সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি না গিয়ে যে যেখানে আছে, সেখানে থেকেই ঈদ পালন করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেঁচে থাকলে পরেও করা যাবে ঈদ উৎসব, বললেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (০৬ মে) সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ উদ্বোধনের সময় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি এ সময় তাঁর বক্তব্যে বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে নৌপথকে আরও কার্যকর করতে ১০ হাজার কিলোমিটার নদী ড্রেজিং করা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর নদী খনন, পানি সংরক্ষণ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও বাঁধ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কাজগুলো করে যাচ্ছে। ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ হাজার কিলোমিটার নদীপথ খনন করার পরিকল্পনা সরকারের। তবে সেগুলো শুধু খনন করলেই হবে না, প্রতি বছর ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থাও করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সরকার প্রধানের আজ ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান, বিআইডব্লিউটিএ’র ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার, বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ ‘পরিদর্শী’, প্রশিক্ষণ জাহাজ ‘টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই)’, বিআইডব্লিউটিসির দু’টি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ এবং ‘এমভি আইভি রহমান’, নবনির্মিত নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেজ, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা আবাসন’ পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট মেরিন একাডেমি।

সরকারের পক্ষ থেকে প্রকল্পগুলো সম্পর্কে বলা হয়েছে, মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নৌ-সেক্টরের উন্নয়নে এসব অবকাঠামো এবং জলযান নতুন মাত্রা যোগ করবে। বাংলাদেশে তৈরি ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজারসহ শতাধিক নৌযান একসাথে উদ্বোধন করা, বাংলাদেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

জানা গেছে, নৌপথ খনন ও নাব্যতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র বহরে ২০টি ড্রেজার যুক্ত হয়ে মোট ৪৫টি ড্রেজারের শক্তিশালী ইউনিট তৈরি হয়েছে। এছাড়াও, সরকারের বর্তমান মেয়াদে লক্ষ্য রয়েছে ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহ করার।

Advertisement
Share.

Leave A Reply