মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার দেওয়ার প্রকল্পের আওতায় এ বছর জুনে আরও সাড়ে ৫৩ হাজার ৪৩৪ টি অসহায় পরিবার ঘর পেতে যাচ্ছে। পাশাপাশি, আগামী অর্থবছরে আরও সোয়া এক লাখ ঘর দেওয়া হবে।
সোমবার (৩ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প – ২ এর কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আয়োজিত এ ভার্চুয়াল সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় এই প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। যেন আগামী ৭ জুনের মধ্যে সরকার ভূমিহীন ও গৃহহীন আরও ৫০ হাজার পরিবারকে ঘর উপহার দিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় হুঁশিয়ারি হিসেবে বলা হয়, এ প্রকল্পের কাজে কোনো ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কাজের মান নিশ্চিতকরণ ও সঠিক মানুষ যেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পায়, তার উপর নজরদারি বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয় এ সভায়।
আশ্রয়ণ প্রকল্প – ২ এর কাজের অগ্রগতির খোঁজ-খবর সবসময় প্রধানমন্ত্রী নিচ্ছেন উল্লেখ করে মুখ্য সচিব বলেন, তারা আশা করছেন এই প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ হবে। তিনি জানান, এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে ৫ কোটি টাকা দিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগের ফলে এখন বেসরকারি খাতও এ প্রকল্পে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র নির্মূল ও গৃহহীনদের সমাজে মর্যাদার আসন দেওয়ার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন কায়কাউস।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ শতাংশ জমির সাথে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর উপহার দেওয়ার মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্প – ২ এর উদ্বোধন করেন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মূলত দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর উপহার দেওয়ার জন্য ‘গৃহ প্রদান নীতিমালা ২০২০’ প্রণয়ন করা হয়।
ভার্চুয়াল এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ সরকারের অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি, এ সভায় দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ মাঠ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও যুক্ত ছিলেন।