fbpx

জুলহাস-তনয় হত্যায় মেজর জিয়াসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি’র কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু লোকনাট্যদলের শিশু সংগঠন পিপলস থিয়েটারের কর্মী মাহবুব তনয় হত্যা মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়াসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত আজ মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি, তাদের পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, মামলার অন্য দুই আসামি সাব্বিরুল হক চৌধুরী ও মাওলানা জুনায়েদ আহম্মেদকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে। রায় ঘোষণার আগে আসামিদের মধ্যে কারাগার থেকে মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তার চার জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন, নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সামরিক শাখার প্রধান মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ও মো. জুনাইদ আহমদ।

এর আগে, গত ২৩ আগস্ট জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু তনয় হত্যা মামলার রায় আজ ৩১ আগস্ট ঘোষণার কথা জানান আদালত। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, সমকামীদের অধিকার বিষয়ক সাময়িকী ‘রূপবান’ এর সম্পাদনা ও প্রকাশনার সাথে যুক্ত ৩৫ বছর বয়সী জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু ‘পিটিএ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নাট্যকর্মী মাহবুব তনয়কে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় কলাবাগানের বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে কলাবাগান থানায় করা দুই মামলা তদন্ত করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। আনসার আল ইসলামের চার জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। সংগঠনটি নিজেদের আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা বলে দাবি করে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply