fbpx

জয়ের অপেক্ষায় বাংলাদেশ!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জয়ের জন্য শেষ দিন ২৮৫ রান দরকার উইন্ডিজের, হাতে আছে সাত উইকটে। লাইনটা একদমে পড়ে নিতে পারবে যে কেউ। কিন্তু এই কাজটা হিমালয় চূড়ায় উঠার মতো কঠিন, এই মূহুর্তে ক্যারিবিয়ানদের চেয়ে ভালো আর কে জানে। টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাকরণে এখনই কোন দলকে জিতিয়ে দেয়া যায়না কিংবা পরাজয় নিশ্চিত বলা যায়না। কিন্তু আন্দাজ করতে দোষের কি! এই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতবে এটা খোদ উইন্ডিজরাও মানবে, প্রত্যাশিতই বটে। যদি না অসাধারণ কোন ইনিংস খেলে ফেলেন উইন্ডিজ কোন ব্যাটসম্যান। তবুও ক্যারিবিয়ানদের ইতিহাস গড়তে হবে সাগরিকা পাড়ের উইকেটে। কেননা এই মাঠে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩১৭ রান তাড়া করে জিতার একটি রেকর্ডই আছে। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ড পেরেছিল। কিন্তু উইন্ডিজদের সামনে লক্ষ্যটা ৩৯৫ রানের। চতুর্থ দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১০ রান।

এই দিনটা বাংলাদেশের শুরু হয়েছিলে উইন্ডিজদের কত টার্গট দিলে স্বাগতিকরা নিরাপদ থাকবে এমন প্রশ্ন নিয়ে। ক্রিজে ছিলেন বর্তমান এবং আগের অধিনায়ক। বাংলাদেশের দুই লিটল মাস্টার মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম। কিন্তু নেতৃত্ব দিত হয় একজনকেই। তাই করলেন মুমিনুল। আর নেতাকে রেখে প্যাভিলিয়নে ফিরেন মুশফিকুর রহিম, আগের দিনের সাথে ৮ যোগ করে ১৮ রানে। তার পরের সময়টায় সৌরভের সৌরভ ছড়ানো নান্দনিক ব্যাটিং। বলতে গেলে টেস্ট স্পেশালিস্টের স্পেশাল ইনিংস। জহুর আহমেদের উইকেটে মুমিনুল যেন ফিরে আসেন পুরনো রূপে। এখানে মুমিনুল সৌরভ ছড়াবেন এটাই স্বাভাবিক। যা একটু সময় নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে পারেননি। ঠিকই দ্বিতীয় ইনিংসে জমে যান সাগরিকায়। ৮৪ বলে ৫০। ম্যাজিকাল ফিগার ছুঁয়েছেন ১৭৩ বলে। ক্যারিয়ারের দশ সেঞ্চুরির সাতটা জহুর আহমেদে। ভাবা যায়? এই সেঞ্চুরি দিয়ে মুমিনুলকে কিংবন্তী বললেও ভুল হবেনা। কারণ রেকর্ড বলছে একমাঠে ৭ সেঞ্চুরি তুলে ক্লার্ক-সাঙ্গাকারাদের মতো কিংবদন্তীদের পাশে বসেছেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক। ১১৫ রান করে গ্যাব্রিয়েলের বলে কেমার রোচের হাতে ক্যাচ দিয়ে থামতে হয় মুমিনুলকে।

মুমিনুলের সেঞ্চুরির সাথে মিশে আছে লিটন দাসের কৃতিত্ব। লিটন যোগ্য সঙ্গ দিয়েছিলেন বলতেই হয়। সাকিব ইনজুরিতে পড়ায় নামা হয়নি দ্বিতীয় ইনিংসে। লিটন সেই জায়গার অভাবটা বুঝতে দেননি। মুমিনুলের সাথে সময়োপযোগী ১৩৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। যদিও সেঞ্চুরি করতে পারতেন। কিন্তু হেয়ালি শটে আউট হন। কাইল মেয়ার্সের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে করেন ৬৯ রান। এরপর দ্রুত তাইজুল এবং মেহেদি মিরাজ আউট হলে বাংলাদেশ অলআউট হতে চায়নি। তাই ৮ উইকেটে ২২৩ রান স্কোরবোর্ড জমা হওয়ার পরই ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। তখন বাংলাদেশের লিড ২৯৪ রানের। মনে হয়েছিলে এই রান জিতার জন্য যথেষ্ট কিনা। দিন শেষে বলা যায় যথার্তই। মেহেদি মিরাজ যেভাবে উইকেট তুলছেন তাতে খুব বেশ দূর যেতে পারবে না উইন্ডিজরা এটা হলফ করে বলা যায়।

চতুর্থ দিন শেষ বেলায় এক সেশনের কিছু সময় বেশি ব্যাটিং করেছে উইন্ডিজ। চা বিরতি পর্যন্ত বিনা উইকেটে ১৮ রান করে তারা। কিন্তু পরের সেশনে বাংলাদেশে সফল। ৯২ রান করে ক্যারিবিয়রা। তবে হারিয়েছে তিন উইকেট। তিনটাই নিয়েছেন মিরাজ। ম্যাচের শেষ দিন কারা সফল হবেন, বাংলাদেশের স্পিনাররা নাকি উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। সেই রোমাঞ্চই ধরে রাখলো চট্টগ্রাম টেস্ট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ৪৩০ এবং ২২৩ ( মুমিনুল ১১৫, লিটন ৬৯, মুশফিক ১৮) কর্নওয়াল ৩/৮১, ওয়ারিকান ৩/৫৭

উইন্ডিজ ২৫৯ এবং ১১০/৩ ( বনার ৩৭*, মেয়ার্স ১৫*) মিরাজ ৩/৫২

Advertisement
Share.

Leave A Reply