সময়টা ২০১৩। ‘ঝগড়ার গান’ অ্যালবাম দিয়ে আসিফ-ন্যানসির যৌথ গানের প্রজেক্ট শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই ‘ঝগড়ার গান’ অ্যালবাম যে এই দুই জনপ্রিয় শিল্পীর ব্যক্তি জীবনে ঝগড়া তৈরি করবে কে জানতো।
ঝগড়ার শুরুটা সোশ্যাল মিডিয়ায় হলেও শেষ পর্যন্ত সেটা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
ন্যানসি দাবি করেন এই প্রজেক্টের সহ প্রযোজক ছিলেন তিনি এবং এর ২৫ ভাগ মালিকানাও তার। কিন্তু দীর্ঘ আট বছর পার হয়ে গেলেও একটি টাকাও রয়ালিটি পাননি।
এই অবস্থায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গানগুলোর রিলেটেড রাইট চেয়ে কপিরাইট অফিসে আবেদন করেন ন্যানসি। তারই প্রেক্ষিতে এই অ্যালবামের গীতিকার, সুরকার এবং আসিফ আকবরকে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানায় কপিরাইট অফিস এবং গত মার্চ মাসে এই অ্যালবামের ৫০ ভাগ রিলেটেড রাইট দেওয়া হয় ন্যানসিকে।
এ বিষয়ে কপিরাইট অফিস তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানায়, ‘আজ (১৮ জুলাই) দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ন্যানসি রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস জাফর রাজা চৌধুরীর কাছ থেকে তার গানের অ্যালবামের রিলেটেড রাইট এর সনদ গ্রহণ করেছেন।’
ন্যানসি বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে আমি এতদিন কপিরাইট অফিসে যেতে পারিনি। তার মধ্যে কোভিড-১৯ ছিল অন্যতম কারণ, ১৮ জুলাই রবিবার উনাদের অফিসে গিয়ে কাগজ সংগ্রহ করলাম। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই কপিরাইট অফিসকে। করো প্রতি কোনো রাগ বা ক্ষোভ না, আমি আমার ন্যায্য অধিকারটা নিশ্চিত করতে চেয়েছি মূলত। আদালতের প্রতিও আমার আস্থা আছে। নিশ্চয়ই ন্যায় বিচার পাব।’
২০২০ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানায় আসিফের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আনেন ন্যানসি।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, বেসরকারি একটি টেলিভিশনে আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে ৬১৭ টি গান প্রকৃত শিল্পীর অনুমতি ছাড়া গানের সত্ত্বা বিক্রি করার অপরাধসহ জালিয়াতির সচিত্র প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। যার মধ্যে আমার ১২ টি গান অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর আমি আমার ১২ টি গানের সত্ত্বা দাবি করলে তার রোষাণলে পড়ি। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে আমাকে মিথ্যুক, মানসিক ভারসাম্যহীনসহ কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য করে, যা আমার জন্য মানহানিকর। সেজন্যই আমি আইনের দারস্থ হয়েছি।
ঝগড়ার গান অ্যালবামের ১০টি গানের কথা লিখেছেন বাকীউল আলম, কবির বকুল, প্রদীপ সাহা, রাজীব আহমেদ ও রবিউল ইসলাম জীবন। সুর করেছেন মনোয়ার হোসেন টুটুল। সংগীতায়োজন করেছেন আহমেদ কিসলু।