পৌষ শেষে মাঘ মাস দুয়ারের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্ত আবহাওয়া বলছে ভিন্ন কথা। এই সময়টাতে যখন কনকনে ঠান্ডা থাকার কথা, ঠিক তখন চারদিকে কেমন গরম বেড়ে গেছে। তাপমাত্রা বেডে যাওয়ার ফলে উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় এ যেনো বোঝার উপায় নেই, এটি আসলে শীতকাল নাকি অন্য কোনো ঋতু!
তবে এই অবস্থার পরিবর্তন আসতে চলেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, মঙ্গলবার থেকে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপমাত্রা আবারও কমতে শুরু করবে। এসময় থেমে থেমে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি দুই–তিন দিন চলতে পারে।
পূর্বাভাস বলছে, মঙ্গলবার থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালী এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে দেশের বেশির ভাগ এলাকার দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। বৃষ্টি কমতেই তাপমাত্রা কমে শীতের অনুভূতি ফিরে আসতে পারে। আর ১৫ জানুয়ারি থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা দ্রুত কমে আবারও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
সোমবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যায়। আর উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় দিনের তাপমাত্রা একলাফে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়ে। ফলে দিনভর বেশ গরম ছিল। রাতেও সেই অবস্থা বিরাজমান ছিল। একসময় মনে হচ্ছিল, শীত বুঝি চলেই গেলো।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, মঙ্গলবার দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মেঘ এসে পড়বে। এতে রোদের দাপট কমে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। আর রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তির দিকে থাকবে। তবে বৃষ্টি চলে এলে কিছুটা ঠান্ডা বাতাসও এর সঙ্গে যোগ দেবে। ফলে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত ঠান্ডার অনুভূতি বেড়ে যেতে পারে।
সোমবার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত ৫ বছরের ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত সময়কালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়।
শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গরম অনুভূত হলেও দেশের উত্তরাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে রোদের পাশাপাশি কুয়াশাও আছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তা দ্রুত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আকাশে মেঘ আর দৃষ্টিসীমায় কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলোকে সাবধানে ও আলো জ্বালিয়ে চলাচল করতে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।