fbpx

টমেটো ও গাজরের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঈদের আগেই বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছিল গাজর ও টমেটো। আর সপ্তাহ ব্যবধানে এর দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। ফলে সাধারণ ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে এই দুই সবজি।

একইসঙ্গে রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। সাথে যোগ হয়েছে কাঁচামরিচও। ঈদের পর কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা পর্যন্ত।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে সারাদেশে আজ শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে শুরু হয়েছে কঠোরতম বিধিনিষেধ। একে তো ঈদ, এর পর আবার লকডাউন। ফলে বেশিরভাগ সবজির দোকান বন্ধ রয়েছে। অল্প কিছু ব্যবসায়ী দোকান খুলে সবজি বিক্রি করছেন। সবজির মতো মাছ বাজারেও অল্পকিছু ব্যবসায়ীকে মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে বিক্রেতা যেমন কম, ক্রেতাও তেমনি কম। তবে সবজির মতোই সব ধরনের মাছ চড়া দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সব থেকে বেশি বেড়েছে চিংড়ির দাম। কেজিতে চিংড়ির দাম ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, ঈদের আগে যার দাম ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে। আর পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে ছিল।

চাহিদার তুলনায় বাজারে এ দুটি পণ্যের সরবরাহ কম হওয়ার দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ঈদের আগে কিছু সবজির দাম কমলেও ঈদের পর আবার আগের দামে ফিরে গেছে। বেগুনের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ঢেড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, কাঁচকলার হালি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা,  পেঁপের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।

আগের মতো আদা এখনও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। আর দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি আগের মতো ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। অন্যান্য মাছের মধ্যে তেলাপিয়া মাছের কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। এছাড়া রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ৩২০ টাকা, মৃগেল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং রূপচাঁদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা।

বাজারে বেশিরভাগ মাংসের দোকান বন্ধ দেখা গেছে। তবে কিছু মুরগির দোকান খোলা পাওয়া যেখানে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply