টানা তিন দিনের ছুটি পেয়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। যার ফলে খালি নেই সেখানকার আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলো। জানা যায়, প্রায় ২০ হাজারের বেশি পর্যটক হোটেল খালি না পেয়ে সমুদ্রসৈকতে, রাস্তায় ধারে ও শহরের বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে এবং ঘোরাফেরা করে সময় পার করছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ ও ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) গতকাল (১৭ ডিসেম্বর) শুক্রবারের তথ্যানুযায়ী কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকায় অন্তত চার লাখ পর্যটক অবস্থান করছেন।
তথ্য আরও বলছে, কক্সবাজারে অবস্থানরত পর্যটকদের মধ্যে দুই লাখ পর্যটক হোটেল ও মোটেলে উঠতে পেরেছে। বাকিরা হোটেল খালি না পেয়ে যানবাহন ও শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে সময় পার করছেন। এছাড়া, কিছু পর্যটক টেকনাফ, ইনানী, হিমছড়ি, সেন্টমার্টিন, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির ও চকরিয়ার সাফারি পার্কের মতো দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরতে গেছেন।
গতকালের দেশের একটি অনলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পর্যটক বেশি হওয়ায় কক্সবাজারে ডাল-ভাত ৪০০, আলুভর্তা ৩০০ টাকা।
এদিকে পর্যটকের চাপে শহরে বেড়েছে তীব্র যানযট।
এছাড়া কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেল কক্ষ খালি থাকার পরও তিন থেকে চারগুণ বেশি ভাড়া চাইছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ বলেও অভিযোগ রয়েছে।
দেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন দিনে কক্সবাজার সৈকতে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি পর্যটক বেড়াতে এসেছেন।
তবে এই বিপুলসংখ্যক পর্যটকদের চাপ সামলাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।