fbpx

টিকার জন্য অপেক্ষা না করে স্কুল খুলে দেওয়ার আহ্বান ইউনেস্কোর  

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বে করোনা সংক্রমণের ১৮ মাস পার হয়েছে এবং লাখ লাখ শিশুর পড়াশোনা বন্ধ আছে। ফলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাই সবাইকে টিকা দেওয়ার অপেক্ষায় না থেকে এমন অবস্থায় স্কুলগুলো পুনরায় খুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘের দুই সংস্থা ইউনিসেফ ও ইউনেস্কো।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর এবং ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘১৩ জুলাই অনুষ্ঠেয় গ্লোবাল এডুকেশন মিটিং সামনে রেখে আমরা নীতি নির্ধারক এবং সরকারগুলোর প্রতি অনুরোধ জানাই, একটি প্রজন্মকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে নিরাপদে স্কুল খুলে দেওয়ার বিষয়টিকে আপনারা অগ্রাধিকার দিন।’

এ তথ্য তুলে ধরে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এভাবে চলতে পারে না। বন্ধের ক্ষেত্রে স্কুলগুলো সবার শেষে এবং খোলার ক্ষেত্রে সবার আগে বিবেচনায় রাখা উচিত।’

বিবৃতিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত, বিশ্বের ১৯টি দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ১৫ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সংক্রমণ সীমিত রাখতে সরকারগুলো অনেক সময়ই স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে এবং দীর্ঘকাল সেগুলো বন্ধ রেখেছে। অনেক ক্ষেত্রে, স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হলেও বার ও রেস্তোরাঁগুলো খোলা ছিল।’

সেখানে আরও বলা হয়, ‘স্কুলে যেতে না পারার ক্ষতি কখনোই পুষিয়ে নেওয়া যাবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তাদের শিক্ষাগত অর্জন এবং সামাজিক সম্পৃক্ততায় এর প্রভাব পরিলক্ষিত হবে।’

ইউনিসেফ ও ইউনেস্কো বলছে, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য সংক্রমণ শূন্যের কোঠায় আসার অপেক্ষায় থাকা উচিৎ নয়। এটি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, সংক্রমণের প্রধান চালিকাশক্তিগুলোর মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রশমন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে স্কুলগুলোতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি সামাল দেওয়া সম্ভব। স্কুল খুলে দেওয়া বা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঝুঁকি বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এবং যে কমিউনিটিতে স্কুল অবস্থিত সেখানকার মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে নেওয়া উচিত।’

এ পরিস্থিতিতে ‘স্কুল খুলে দেওয়ার জন্য সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা যায় না’ উল্লেখ করে বলা হয়, স্কুলে প্রবেশের আগে টিকাদান বাধ্যতামূলক না করে সব স্কুলের উচিত যত দ্রুত সম্ভব ক্লাসে এসে শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে- সেই ব্যবস্থা করা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বৈশ্বিক পর্যায়ে টিকা ঘাটতি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে। এ অবস্থায় টিকাদানের ক্ষেত্রে সম্মুখ সারির কর্মী, মারাত্মক অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেওয়া অব্যাহত থাকবে। স্কুলে প্রবেশের আগে টিকাদান বাধ্যতামূলক না করাসহ সব স্কুলের উচিত যত দ্রুত সম্ভব ব্যক্তিগতভাবে স্কুলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply