fbpx

টিকার সনদ ছাড়া মার্কেটে প্রবেশ নয়, ট্রেন-প্লেন-লঞ্চেও না

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার সনদ ছাড়া হোটেল-রেস্টুরেন্টের মতো শপিংমলেও প্রবেশ করা যাবে না। একই সঙ্গে ট্রেন, প্লেন, লঞ্চেও চলাচল করা যাবে না।

৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক নিয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।

ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠক হয় শুরু হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘ওমিক্রন নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে (মূলত ছিলেন প্রধান অতিথি) একটি সভা হয়েছে। সেখানে যেই বিষয়টি পয়েন্ট আউট করা হয়েছে, সেটা হলো ভ্যাকসিনটা আরও জোরদার করতে হবে। বুস্টারটাকে আরও কীভাবে কমফোর্ট্যাবল ও বিস্তৃত করা যায় সেটা দেখতে হবে।’

তিনি আরও জানান, ‘ওমিক্রমের বিষয়ে বলা হয়েছে, আমরা এখন থেকে রেস্টুরেন্ট, শপিংমল, প্লেন, ট্রেন ও লঞ্চে যারা উঠবে তাদের একটা টাইম দিয়ে, ডাবল ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট ছাড়া কেউ যাতে না ওঠে। সেরকম একটা চিন্তা-ভাবনার দিকে যেতে হবে।

রেস্টুরেন্ট, শপিংমলে প্রবেশ এবং প্লেন, ট্রেন ও লঞ্চে ওঠা) ওঠার ক্ষেত্রে ডাবল ভ্যাকসিনেশনের একটা ইমপোজিশন (টিকার দু-ডোজ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ) আসতেছে।’

এ সময় রেস্টুরেন্টে সনদ যাচাই কি ভাবে করা হবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, মোবাইলে সফট কপি থাকবে কিংবা হার্ড কপি থাকবে। কোনো দেশে পুরো জনসংখ্যা কোনোভাবেই চেক করা সম্ভব নয়, স্যাম্পল হিসেবে করা হয়। ভিজিল্যান্স টিম থাকতে প্রত্যেক শহরে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক আছেন তারা চেক করবেন। আমাদের ল-এনফোর্সিং এজেন্সি চেক করবে।’

(সেবা নিতে টিকার সনদ বাধ্যতামূলক করা) অলরেডি সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। টেকনিক্যাল লোকজনের সঙ্গে দু-একদিনের মধ্যে পরামর্শ করে সময় দিয়ে ইনশাআল্লাহ আমরা অর্ডার করে দিচ্ছি বলে জানান সচিব।

তবে এটা কবে নাগাদ কার্যকর করা হবে সে বিষয়ে তিনি বলেন, টেকনিক্যাল লোকজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটা টাইম দিয়ে এটা করা হবে।

এছাড়া বাড়ির বাইরে কোনোক্রমেই মাস্ক ছাড়া যাওয়া যাবেনা জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘অলরেডি আমরা বলে দিয়েছি, এখন থেকেই মোটিভেশন ও প্রোমোশনার কাজ করবে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply