fbpx

টিকা কার্যক্রম চলমান রাখতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত: দোরাইস্বামী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত, টিকা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য ভারত সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

ভারতের টিকা নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে সে বিষয়ে দোরাইস্বামী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ অনেক বেশি আকারে দেখা দিচ্ছে। ভারতের অবস্থাও দিন দিন খারাপ হচ্ছে। তবুও বাংলাদেশ যেনো টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে, সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে ভারত সরকার। সবাই মিলে একত্রে কাজ করলে, এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারবো বলে আশাকরি।‘

বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে তিনি একথা বলেন। চারদিনের ছুটি শেষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে কর্মস্থলে ফিরেছেন দোরাইস্বামী।

বিক্রম বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের টিকার প্রাপ্যতা নিয়ে সঙ্কট রয়েছে। সরবাহের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। আমরা যতগুলো দেশকে টিকা দিয়েছি, তার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৭০ লাখ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে।‘

বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই এই মহামারীর মধ্যেও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন বলেও জানালেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত।

উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড এর তিন কোটি ডোজের জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে দেড় কোটি টিকা আসার কথা থাকলেও সেরাম ইনস্টিটিউট দুই চালানে পাঠিয়েছে ৭০ লাখ ডোজ। প্রথমবার ভারতের পাঠানো উপহার ২০ লাখ এবং নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফরের সময় সাথে আনা ১২ লাখ ডোজও যুক্ত হয়েছে টিকাদান কর্মসূচীতে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে এ পর্যন্ত ৭৫ লাখের বেশি ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রথম ডোজ যারা নিয়েছেন, ভারতের টিকা যথাসময়ে না এলে, দ্বিতীয় ডোজ টিকা সবাইকে দেওয়া সম্ভব হবে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

Advertisement
Share.

Leave A Reply