fbpx

টিকা না নেওয়া ব্যক্তিরা ‘অহেতুক মারা’ যাচ্ছে: ডব্লিউএইচও

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ‘অহেতুক মারা’ যাচ্ছে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিরা, বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ডব্লিউএইচও বলছে, এই মহামারির সাথে লড়ার একমাত্র অস্ত্র হলো এই টিকা। ৫৬টি দেশ ডব্লিউএইচওর লক্ষ্য পূরণে পেছনে পড়েছে। এ বছর সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশগুলো মাত্র ১০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছে বলেও জানায় সংস্থাটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ বিষয়ক প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভ গতকাল মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ডব্লিউএইচও’র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চ্যানেলে দেওয়া সরাসরি বক্তব্যে বলেন, টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুঝুঁকি অনেক কমে যায়। বিশ্বজুড়ে ৫০ লাখ করোনাভাইরাসের গুরুতর রোগী হাসপাতালে ভর্তি ও করোনার মৃত্যু থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

সংস্থাটির এই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ব যেভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে, এতে এই মহামারি দূর হবে না। পরিস্থিতি এখনো অবিশ্বাস্য রকমের শক্তিশালী। একে এজন্যই শক্তিশালী বলছি যে, এই ভাইরাসের ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’

করোনাভাইরাস ও টিকা নিয়ে ভুল তথ্যের ছড়াছড়ির কারণে মানুষের মৃত্যু বাড়ছে বলেও সতর্ক করেন ডব্লিউএইচও’র কোভিড-১৯ টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান মারিয়া।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে বিশ্বে ৩১ লাখ মানুষ নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে আরও ৫৪ হাজার মানুষের। তবে প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

মারিয়া বলেন, ‘এখনো অসংখ্য মানুষ আছেন, যারা টিকার বাইরে রয়েছেন। হয় তারা টিকা পাননি, অথবা তারা টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আর এ কারণে এখনো করোনার বিস্তার চলছে।‘

যেসব দেশ পর্যাপ্ত টিকা পাচ্ছে না, সেদিকে শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়ে আসছিল সংস্থাটি। সংস্থাটির মতে, মাত্র ২৪টির মতো দেশে এখনও ২ শতাংশ মানুষকেও টিকার আওতায় আনা যায়নি। এমনকি, দুই আফ্রিকাতেও কোনো ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়নি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply