fbpx

ট্রাকচাপায় কানাডার এক মুসলিম পরিবারের ৪ জন নিহত

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

কানাডার অন্টারিও প্রদেশে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি মুসলিম পরিবারের ওপর ট্রাক উঠিয়ে দিয়ে সে পরিবারের চারজনকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া পরিবারটির একমাত্র সদস্য নয় বছরের এক কিশোর গুরুতর আহত হয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দেশটির স্থানীয় পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডকে ‘পূর্ব-পরিকল্পিত’ বলে উল্লেখ করেছে।

গতকাল সোমবার (৭ জুন) কানাডার স্থানীয় সংবাদমাধ্যগুলোর বরাত দিয়ে বিবিসি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির স্থানীয় সময় রবিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ২০ বছর বয়সী নাথানিয়াল ভেল্টম্যান নামের এক কানাডীয় তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে একটি বিপণিবিতান থেকে তাকে গ্রেপ্তারের সময় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। নাথানিয়ালের বিরুদ্ধে চারটি হত্যার ও একটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত এই ব্যক্তি অন্টারিওর লন্ডন শহরের বাসিন্দা।

জানা গেছে, মুসলিম পরিবারটি রাস্তা পার হওয়ার জন্য ওই সড়কের পাশেই অপেক্ষা করছিলেন। সে সময় ট্রাকটি তাদেরকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই পরিবারটির চারজন ৭৪ ও ৪৪ বছর বয়সী দু’জন নারী, ৪৬ বছরের এক ব্যক্তি এবং ১৫ বছরের এক কিশোরী নিহত হন।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, পরিবারটি মুসলিম বিধায় তাদের উপর এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে, হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের সম্মতি না থাকায় তাদের কারো নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট পল রাইট বলেছেন, ‘এটি প্রমাণিত যে, এই হামলা পূর্ব–পরিকল্পিত। তারা মুসলিম হওয়ার কারণে বিদ্বেষপ্রসূত হামলা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি আমরা। সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগও খতিয়ে দেখছে পুলিশ’।

হামলার বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘লন্ডন, অন্টারিওর এ খবর শুনে আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি। গতকালের ঘৃণিত ঘটনায় যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, আমরা তাদের পাশে আছি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটিরও পাশে আছি আমরা’।

অন্টারিও প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ডগ ফোর্ড হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘অন্টারিওতে ঘৃণা ও ইসলামবিদ্বেষের কোনো স্থান নেই’। এ ঘটনায় লন্ডন শহরের মেয়রও শোক প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের পর কানাডায় মুসলিমদের ওপর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা। সে বছর কুইবেক শহরের একটি মসজিদে ছয়জনকে হত্যা করা হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply