এমন মানুষ বোধ হয় খুব কমই পাওয়া যাবে, যে মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন না। বিশেষকরে খাবারের শেষ পাতে মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। তবে ইদানিং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই মিষ্টিবিমূখ। বিশেষকরে যারা ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন তাদের জন্য মিষ্টি খাওয়া বেশ ঝুকিপূর্ণ। আজ এমন কিছু মিষ্টি জাতীয় খাবার নিয়ে আলোচনা করা হবে যেগুলো ডাইবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয়।
গাজরের হালুয়া
গাজর এমনিতেই শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর একটি সব্জি। রান্না বা কাঁচা যে অবস্থাতেই খাওয়া হোক না কেন গাজর শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ডাইবেটিস রোগীদের জন্যও গাজর অত্যন্ত উপকারী। তাই গাজরের হালুয়া একটু কম মিষ্টি দিয়ে রান্না করে ডায়াবেটিস রোগীরা অনায়াসেই খেতে পারেন। তবে হ্যাঁ, কোন কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো না। পরিমিত পরিমাণে গাজরের হালুয়া খেলে ক্ষতিকর হবে না।
ফিরনি
বাসমতি চাল দিয়ে ফিরনি তৈরি করে আর তার সাথে যুক্ত করতে পারেন পেস্তা ও গোলাপের এসেন্স। এই খাবারটি ডায়াবেটিসের রোগীরা চিন্তামুক্ত হয়ে খেতে পারেন।
বাদাম বরফি
ডায়াবেটিস রোগীরা সুগার ফ্রি বাদাম বরফি খেতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি বাসায় বানিয়ে নিতে পারেন।
চকলেট ব্রাউনি
সুগার ফ্রি ব্রাউনি এখন দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। ইচ্ছে থাকলে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন। এই খাবারটি ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন কোন রকম চিন্তা ছাড়াই।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেট আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করেই দূর করতে পারে মিষ্টি খাবারের চাহিদা। এতে থাকা ফ্লেভোনয়েড নামক এক ধরনের যৌগ থাকে, যেটি ইনসুলিন প্রতিরোধে সহায়তা করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগ থাকলেও খাওয়া যায়।
ফাইবার সমৃদ্ধ আইসক্রিম
ফাইবারসমৃদ্ধ আইসক্রিম ডায়াবেটিস থাকলেও খাওয়া যায়। তবে আগে নিশ্চিত হয়ে নেবেন যেন সেটিতে চিনি মেশানো না থাকে। এ জন্য আপনি খুব সহজ একটি উপাদান মিশিয়েই করে ফেলতে পারেন ফাইবার আইসক্রিম। আর সেটি হচ্ছে কলা। কারণ কলা হচ্ছে ফাইবারের অনেক ভালো উৎস।