fbpx

কোভিড-১৯ রোধে দুই সিটিতে ১৯ মামলা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে মোবাইল কোর্ট চালিয়ে ১৯ টি মামলায় সর্বমোট ৯১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা, লাইসেন্স ব‍্যতীত ও লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে ব‍্যবসা করা, মাস্ক না পরা এবং স্বাস্থ্য বিধি না মানার ইত্যাদি তদারকিতে এই মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

মঙ্গলবার নির্বাহী ম‍্যাজিস্ট্রট দ্বারা পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ডিএনসিসি এলাকার ৩ নম্বর অঞ্চলের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ টি মামলায় ৭৫ হাজার টাকা, ৯ নম্বর অঞ্চলের ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩ টি মামলায় ১০ হাজার ১০০ টাকা এবং ১০ নম্বর অঞ্চলের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ২ টি মামলায় ৬০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এভাবে মোট ১৯ টি মামলায় আদায়কৃত জরিমানার সর্বমোট পরিমাণ ৯১ হাজার ১০০ টাকা।

অন্যদিকে, একই দিনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) আওতাধীন এলাকায় ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ ও মশার লার্ভা পাওয়ায় ১৩ মামলায় পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি জরিমানা আদায় করা হয়।

ঢাদসিক এর অঞ্চল ১-৪ ও ৬-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের (আনিক) পাশাপাশি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতসমূহের নেতৃত্ব দেন। অভিযানে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করা, স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করা, অনুমোদনবিহীন দোকানপাট খোলা রাখা ও মশার লার্ভা পাওয়ায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোট ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় সর্বমোট ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ঢাদসিক এর আঞ্চল-১ এর আনিক মেরীনা নাজনীন ধানমণ্ডি, ঝিগাতলা, হাতিরপুল ও নিউ মার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে তিনটার পরে খোলা রাখায় ৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা দায়ের ও নগদ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

অঞ্চল-২ এর আনিক সুয়ে মেন জো এর নেতৃত্বে ২, ৯ ও ১১ নং ওয়ার্ডের গোড়ান বাজার, সিপাহীবাগ বাজার, ফকিরাপুল বাজার ও শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি এলাকায়; অঞ্চল -৩ এর আনিক বাবর আলী মীর কালুরখাল ও কামরাংগিচর বেড়িবাঁধ এলাকায়; অঞ্চল -৪ এর আনিক মো. হায়দর আলী ৩৪, ৩৫, ৩৮ ও ৪২ নং ওয়ার্ডের জনতা মার্কেট, জনসন রোড, নওয়াবপুর রোড এলাকায়; অঞ্চল -৬ এর আনিক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার ৭৪ নং ওয়ার্ডের নন্দীপাড়া ব্রীজ পরবর্তী নন্দীপাড়া সংলগ্ন প্রধান সড়কে; অঞ্চল -৭ এর আনিক ড. মোহাম্মদ মাহে আলম ৭১ ও ৭২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মুগদা, মান্ডা, কদমতলা ও ঝিলপাড় এলাকায় এবং অঞ্চল-৮ এর আনিক শহিদুল ইসলাম ৬৬ ও ৬৭ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।

ঢাদসিক এর সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃতত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত শান্তিনগর বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সরকারি নির্দেশনা ভঙ্গ করায় ১টি মামলার মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ আজ গেন্ডারিয়া, ধূপখোলা মাঠ ও দয়াগঞ্জ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে সরকারী নির্দেশ অমান্য করে দুপুর ৩টার পর দোকান খোলা রাখায় আদালত ৫টি দোকান মালিকের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের এবং নগদ ১৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবীর ত্রপার নেতৃত্বাধীন আদালত এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণের লক্ষে শান্তিনগর এলাকায় ২৫টি স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলা দায়ের ও নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযানে আনিকবৃন্দ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ জরুরী প্রয়োজনে বের হওয়া মাস্কবিহীন লোকজন, রিক্সাচালক ও দোকানীদের মাঝে করপোরেশনের পক্ষ হতে মাস্ক বিতরণ করেন।

অভিযান প্রসঙ্গে অঞ্চল-১ এর আনিক মেরীনা নাজনীন বলেন, “আজকের অভিযানে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে তিনটার পরেও খোলা রাখায় এলিফ্যান্ট রোডের বেস্ট বাই, মিরপুর রোডের ঈমানিয়া বেকারিসহ মোট ৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি এবং জরিমানা আদায় করেছি।”

অভিযানকালে আনিক -২ এর সাথে ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাম্মেল হোসেন ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ফারজানা ইয়াসমিন বিপ্লবী, আনিক -৭ এর সাথে ৭১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. খাইরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানকালে সব ক’টি আদালতই লকডাউনের নির্দেশনা মেনে চলতে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষে মাইকিং করেন। এছাড়াও বিনা প্রয়োজনে অযথা বাড়ির বাইরে বের না হওয়া, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply