fbpx

ঢাকায় কুকুর বিড়ালের থাকার জন্য হোটেল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আবাসিক হোটেলের কথা শুনলে আপনার যা মনে হবে আমরা তার চেয়ে ব্যতিক্রম একটি হোটেলের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো। এই হোটেলটির নাম ‘ফারিঘর’, এটা কোনো মানুষের থাকার হোটেল নয় এটা মানুষের পোষা প্রাণীদের জন্য তৈরি। এখানে কুকুর-বিড়াল থাকতে পারবে তার বাড়ির মতো করে। এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ রয়েছে পোষা প্রাণীর জন্য মিউজিক ও বিনোদনের ব্যবস্থা।

ঢাকায় কুকুর বিড়ালের থাকার জন্য হোটেলঢাকার মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডেই দেখা মিলবে ‘ফারিঘর’ নামের পোষা প্রাণীদের এই হোটেলটির। দেশে প্রথম কুকুর-বিড়ালের জন্য তৈরি এমন হোটেল। প্রাণীপ্রেমীরা ঢাকার বাইরে বা দেশের বাইরে ভ্রমণের জন্য গেলে তাদের প্রিয় প্রাণীটিকে রেখে যেতে পারবেন। তবে তার জন্য গুনতে হবে টাকা। একটি পোষা বিড়াল রাখতে আপনাকে গুনতে হবে ৫০০ টাকা। আর কুকুরের জন্য একদিনে দিতে হবে ১৫০০ টাকা। এছাড়া সপ্তাহ বা মাসের হিসেবে রয়েছে আলাদা আলাদা প্যাকেজ। দিন বেশি হলে টাকার অংকও কমতে থাকবে।

সেক্ষেত্রে একটি বিড়াল পাঁচ দিন রাখলে প্রতিদিনের জন্য ৪৭০ টাকা, ১০ দিন রাখলে ৪৫০ টাকা আর ২০ দিন রাখলে প্রতিদিন ৪০০ টাকা করে দিতে হবে। কুকুরের ক্ষেত্রেও একইভাবে কমতে থাকবে। তবে পোষ্যদের যতদিন রাখা হবে, তত দিনের জন্য পর্যাপ্ত খাবার দিয়ে যেতে হবে। ফারিঘর থেকে প্রাণীদের কোনো খাবার দেওয়া হয় না।

ঢাকায় কুকুর বিড়ালের থাকার জন্য হোটেল

এ্যাস্ট্রো

 

দরজা খুলে ডুকতেই ডাকাডাকি শুরু করলো ‘এ্যাস্টো’ নামের কুকুরটি তিনি এখানে আছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। মালিক দেশের বাইরে যাওয়ায় আগে এ্যাস্টোকে রেখে গেছেন এই ফারিঘরে। শুধু এ্যাস্টো নয় তার প্রতিবেশী হিসেবে পাসের রুমেই উঠেছেন ‘সাই’ খুব ডানপিটে সাইয়ের পাশেই বেশ কিছুদিন আগেই এসেছেন বৃদ্ধ কিচমি বয়সের ভারে শরীরটাও খুব একটা ভালো নেই তার। প্রতিবেশীদের মতো খুব ডাকাডাকির ইচ্ছে না থাকলেও গেস্ট দেখলেই একটু আগ্রহ নিয়ে দেখা ছাড়া এই বুড়ো বয়সে কী আর করার আছে।

ঢাকায় কুকুর বিড়ালের থাকার জন্য হোটেল

ফাড়িঘরের স্থপতি রাকিবুল হক এমিল তার এমন একটি উদ্যেগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিবিএস বাংলাকে বলেন, আপনি একজন মানব সন্তানকে আত্মীয়ের কাছে রেখে বেড়াতে যেতে পারেন। কিন্তু চাইলেই একটি কুকুরকে আপনি আত্মীয়ের সাথে রেখে যেতে পারবেন না। সবাই প্রাণীর সাথে অভ্যস্ত নাও হতে পারে।

এছাড়া রাকিবুল আরও জানান, পোষা প্রাণীর মালিকদেরকে বিভিন্ন ভিডিও রেকর্ড করে দিয়ে যেতে বলা হয়। পরে এগুলো টিভিতে প্লে করে প্রাণীকে দেখানো হয়। এতে প্রাণীটির মনে হবে সে নিজের পরিবারের সাথেই অবস্থান করছে। পাশাপাশি এখানে আছে সিসিটিভি ক্যামেরা। যার মাধ্যমে দূরে থেকেও নিজের প্রাণীর খোঁজখবর রাখা যাবে। যার ফলে মালিকরা তার পোষা প্রাণীটির খোঁজ খবর রাখতে পারেন সহজেই।

ঢাকায় কুকুর বিড়ালের থাকার জন্য হোটেল

জিংজার

তাকে দেখে মনে হতে পারে সে খুব রেগে আছে, আসলেই তিনি কিছুটা বিরক্তই! ক্যামেরা দেখেই নিজের কামরা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন জিংজার। বড় বড় চোখে তাকিয়ে থাকা যেন তার স্বাভাবের দোষ। এদিকে দুষ্টুমিতে সেরা পাশের রুমের ‘ব্রাউনি’ তিনি কেবিনে নয় কোলে থাকতে বেশি পছন্দ করেন। আদর পেলেই চোখ বন্ধ করে থাকে। তাদের প্রতিবেশী হিসেবে পাশেই আছে সিন্দাবাদ ও অটো, তারা দুজন একই বাসার হওয়ায় কেবিন শেয়ারেই আছেন নিজেদের মতো করে যেন কারও ধার ধারেন না তারা।

ফারিঘরে কুকুরের জন্য রয়েছে তিনটি ঘর পাশাপাশি বিড়ালের জন্য ১৪টি  ঘর আছে। কুকুরের জন্য তৈরি প্রতিটি ঘরের দৈর্ঘ্য নয় ফুট বাই পাঁচ ফুট। বিড়ালের জন্য রয়েছে ১৬ বর্গফুটের আলাদা আলাদা কেবিন। এসব কেবিনে বিছানা-বালিশ তো আছেই, একই সঙ্গে টয়লেট ব্যবহারের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। রয়েছে তাদের জন্য পার্লার, মিউজিক এবং ক্যাফের ব্যবস্থা।

ঢাকায় কুকুর বিড়ালের থাকার জন্য হোটেল

এমিল

প্রাণীর প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকেই বিড়াল, কুকুর, পাখি পোষেন অনেকে। এসব পোষা প্রাণীরা বাড়িজুড়ে বিচরণ করে। কারো কারো বেডরুমেও জায়গা হয় এসব প্রাণীদের। কখনওবা এসব প্রাণীরা হয়ে ওঠে পরিবারেরই সদস্য।

Advertisement
Share.

Leave A Reply