জানুয়ারির ২৫ বা ২৬ তারিখ সিরামের ভ্যাকসিন ভারত থেকে বাংলাদেশে আসবে। তার এক সপ্তাহ পরই ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। এ টিকাদান কর্মসূচির জন্য রাজধানী ঢাকায় স্থাপন করা হবে ৩০০টি টিকাকেন্দ্র। আর প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪২ হাজার কর্মীকে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এর আগে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমও ২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। আজ বিষয়টি নিশ্চিত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘রাজধানীর সরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩০০টি টিকাদান কেন্দ্র করা হবে। এখান থেকেই টিকা দেওয়া হবে। তবে ১৮ বছরের নিচের কাউকে এ টিকা দেওয়া হবে না।’
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকেই। সব ওষুধের গায়েই এ কথা লেখা থাকে। টিকা দেওয়ার পর কোনো সমস্যা হলে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে জন্যই হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বেছে নেওয়া হয়েছে টিকাদানের কেন্দ্র হিসেবে।’
ভারত থেকে কী পরিমাণ টিকা আসছে -এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত কী পরিমাণ ভ্যাকসিন দিচ্ছে, তার সংখ্যা এখনই বলতে পারব না। তবে সেটি বেশ ভালো পরিমাণ। অল্প সময়ের মধ্যে চলে আসবে। প্রথম লট পাওয়ার আগেও উপহারের ভ্যাকসিন চলে আসতে পারে।’
এ সময় মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা করোনা যেভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি, ঠিক সেভাবে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগেও সফল হব।’
দেশে সফলভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে চিঠি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধের মতো ভ্যাকসিন দেয়ার কর্মসূচিতেও ভালো করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।