fbpx

ঢাকা টেস্ট হারের দায় কার? নান্নু নাকি ডমিঙ্গোর?

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

দৃশ্যপট কতো দ্রুতই না বদলে যায়! কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠও দেখা হয়ে যায় জীবনের। সত্যিই বড় বিচিত্র এই পৃথিবী, তারপরেও অনিন্দ্য সুন্দর।

দুইদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর কে ভেবেছিল ফলাফল দেখবে মিরপুর টেস্ট! তিনশ রানে ইনিংস ঘোষণা করার পর কি বাবর আজম ভেবেছিলেন বাংলাদেশ পারবে না ফলোঅনটাও এড়াতে? তবে, ম্যাচে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চয়ই হয়ত ভেবেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। না হলে আম্পায়াররা এক ওভার না পেরোতেই যখন বলেছিলেন পেসাররা করতে পারবেন না বোলিং, সেটা হাসিমুখে কেনোই বা মেনে নিবেন বাবর! যেখানে দলে নেই কোনো পার্টটাইমার স্পিনারও!

অথচ, প্রথম দিনে যখন আলোকস্বল্পতা দেখা দিল, তখন মুমিনুল হককেও একই শর্ত দিয়েছিলেন আম্পায়াররা। কিন্তু, ম্যাচটা চলুক সেটাই হয়ত চাননি টাইগার ক্যাপ্টেন, নাহলে কেনো রাজি হলেন না স্পিনার দিয়েই বোলিং করাতে? হয়ত প্রথম থেকেই ভাবনাতে ছিল ম্যাচ ড্র করা!

যেটাই হোক, ঘরের মাঠে বাংলাদেশ পারেনি সিরিজ বাঁচাতে; টি-টোয়েন্টিতেও, টেস্টেও! দায়টা কার এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এড়িয়ে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট সকলেই। হয়ত সঠিক উত্তরটা জানা নেই তাদেরও। মাঠের বাইরের ব্যাপারগুলো নাহয় পেছনেই থাকুক, কিন্তু মাঠের ভেতরের দায়টা নিবেন কে?

সফরকারী দলের সাজিদ খান যখন মাত্র পনেরো ওভার বল করেই আট উইকেট নিচ্ছেন, একই পিচে বাংলাদেশের স্পিনাররা করেছেন ৫৮ ওভার; উইকেট মাত্র দুইটি! বাংলাদেশের পেসারদের যখন সুইং করাতে দেখা যায় কালেভদ্রে, সেখানে প্রথম থেকেই সুইং, রিভার্স সুইং, ইয়র্কারের পসরা সাজিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি-হাসান আলী। যেই পিচে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা, সেখানে দুই অঙ্কের রান তুলতেই হিমশিম খেয়েছে বাংলাদেশী ব্যাটিং লাইনআপ!

ফলোঅনটা পেরোতে পারে নি বাংলাদেশ, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও হারিয়েছে ২৫ রানেই ৪ উইকেট। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম-লিটন দাসের ৭৩ রানের জুটি আর মুশফিক-সাকিব আল হাসানের ৪৯ রানের! মুশফিক যখন ৪৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরছেন তখন বাংলাদেশ শিবিরে আবারোও নেমে আসে অন্ধকার। একমাত্র আশা হয়ে পিচে সাকিব, চিরদিন আস্থার প্রতিদান দিয়ে আসা মানুষটা মিরপুরেও করবেন নামের প্রতি সুবিচার সেটাই যেন বিশ্বাস করাটা তখন সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং।

কিন্তু, সাকিব লড়ে যাচ্ছিলেন। বাবর আজমের বলে সুইপ করতে গিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ যদি এলবিডব্লিউয়ের শিকার না হতেন, তাহলে হয়তো টেস্টে হারটা এড়াতেও পারত বাংলাদেশ। কিন্তু তা হয়নি, মিরাজ ফিরেছেন; পরের ওভারেই ফিরেছেন সাকিবও। এরপর আসলে কিছুই করার ছিল না, হার মেনে নেয়া ছাড়া। কিন্তু, পুরো টেস্ট সিরিজেই টাইগার ব্যাটসম্যানরা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে যেভাবে খেলেছেন, তার দায় কার? শুধুই ব্যাটসম্যানদের নাকি সিলেকশন আর কোচিং প্যানেলেরও!

Advertisement
Share.

Leave A Reply