fbpx

তামিম ভাই, সাকিব ভাই, তাসকিন না থাকা মানে ‘চারজন’ ছাড়া খেলা: মুমিনুল

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

এই কথাটি মনে হয় বাংলাদেশের এমন কোন অধিনায়ক বা কোচের বলা বাকি নেই, কোন সমর্থকের জানতেও বাকি নেই যে ‘সাকিবকে ছাড়া খেলা মানে দুইজন ছাড়া খেলা’। সাকিব না থাকা মানে একজন মূল ব্যাটসম্যান ও একজন মূল বোলার না থাকা। যার ফলে একাদশে ভারসাম্য মেলাতে হিমশিম খায় টিম ম্যানেজমেন্টের।

কিন্তু মুমিনুল হকের তো এবার শুধু হিমশিম না একেবারে ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা হওয়ার কথা। সাকিব নেই, তামিম নেই, রিয়াদ নিয়েছেন অবসর, এমনকি দলের সেরা পেসার তাসকিনও নেই। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের চিন্তা তো দূরে থাকক মাঠে নামার চিন্তা করাটাই তো ভয়ানক হওয়ার কথা বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের জন্য।

তবে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল অবশ্য বললেন তিনি সবসময় ‘আশাবাদী’ থাকতেই পছন্দ করেন,

‘অবশ্যই নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম টেস্ট এবং আমার হাতে খুবই তরুণ একটি দল আছে। অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় নেই তো চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই আছে। তবে যারা নেই তাদের নিয়ে তো আমার পড়ে থাকলে চলবে না, যারা আছে তাদের নিয়েই আগাতে হবে।” ইয়াং টিম। সিনিয়র নাই ভালো দল চ্যালেঞ্জ আছে। পোড়ে থাকলে হবে না এদের নিয়েই আগাতে হবে।’

‘কঠিন বললে নেগেটিভ বলা হবে। আমি বিষয়টা নেগেটিভলি দেখছি না। তামিম ভাই সবসময় আমাদের ভালো শুরু এনে দেন, সাকিব ভাই ‘একের ভেতর দুই’ খেলোয়াড়, তাসকিন নেই- তার মানে আমার কাছে আসলে বলতে গেলে চারটা প্লেয়ার নাই। কিন্তু তারা নাই জন্যই যারা আছে তাদের এখন এক্সট্রা দায়িত্ব নিতে হবে। এটা তাদের জন্য একটি সুযোগও বটে’

এমনিতে বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেটে চলছে ঘোর দুঃসময়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান সিরিজেও চরম ভরাডুবির পর দলের সবার আত্মবিশ্বাসের অবস্থান তলানিতে ঠেকেছে তা বলাই বাহুল্য। তবে মুমিনুল মনে করিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টিতে যারা ছিলো তারা প্রায় কেউই কিন্তু টেস্ট দলে খেলছেন না।

‘টি-টোয়েন্টি আর টেস্ট কিন্তু আলাদা ফরম্যাট। টি-টোয়েন্টিতে যারা খেলেছে তাদের ভেতর থেকে মুশফিক ভাই ও লিটন ছাড়া কিন্তু আর কেউ টেস্ট দলে নেই। সুতরাং আমার মনে হয়না অতীতে যা হয়েছে তা দলের মানসিকতায় খুব বেশি প্রভাব ফেলবে।’

লিটন দাসের বিগত এক বছর টেস্টে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই কথা মনে করিয়েও মুমিনুল টি-টোয়েন্টি ও টেস্টের পার্থক্যটা তুলে ধরেন।

এর আগে বাবর আজমের সংবাদ সম্মেলনে বারবার পাকিস্তানি সাংবাদিকেরা এই সিরিজকে ‘আম সিরিজ’, বা ‘সহজ সিরিজ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, এর কারণ অবশ্যই বাংলাদেশের এই ‘দূর্বল দল’। মুমিনুল এই প্রসঙ্গে অবশ্য দিলেন একেবারেই গতে বাঁধা উত্তর।

‘টেস্ট পাঁচদিনের খেলা। প্রতি ঘন্টায় রঙ বদলায়। আপনি চারদিনে বারো সেশন জিতেও পঞ্চম দিনের তিন সেশনে হারতে পারেন, তখন রেজাল্ট আপনার পক্ষে আসবে না। কাজেই এভাবে কিছু বলা যায়না। আমি আমার দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply