আশির দশকের পর অনেকটা ধ্রুবতারার মতো তার উত্থান। নকল সিনেমার দাপট, মারদাঙ্গা সিনেমার জোয়ার, এসবের বৃত্ত ভেঙে রোমান্টিক তারকা হয়ে এলেন সালমান। শুধু এলেন না, জয় করলেন লাখ ভক্তের মন। সালমানের ক্ষেত্রে একটা উপমা খুব যায়, ‘এলেন আর জয় করলেন।’
ঢাকাই সিনেমার আকাশে নায়ক সালমান শাহ এখনও জ্বলজ্বল করছেন। মৃত্যু মানুষের কর্মকে কখনও ম্লান করে দিতে পারে না তারই জ্বলন্ত উদাহরণ সালমান। অকাল প্রয়াত এই অভিনেতা বেঁচে থাকলে আজ ৫০ বছর পূর্ণ করতেন।
মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে সাফল্যের চূড়া দেখেছেন তিনি। ২৭ টি সিনেমার সব কটিই সুপারহিট। একজন অভিনেতার জীবনে এর চেয়ে বেশি আর কী-ই বা চাইবার থাকতে পারে।
১৯৯৩ সালে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক হয় সালমানের। এই সিনেমায় জুটি বেধেছিলেন নায়িকা মৌসুমীর সাথে। বাংলা সিনেমায় ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ইতিহাস হয়ে আছে আজও। বলা হয়ে থাকে ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ সিনেমার পর এই সিনেমা সবচেয়ে বেশি টাকা আয় করে।
মৌসুমীর সাথে বেশকিছু ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিলেও শাবনূরের সাথে পর্দায় তার রসায়ন ছিল চমৎকার। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সিনেমা ‘তুমি আমার’-এ নায়িকা শাবনূরের সাথে জুটি বাধেন এই নায়ক। ২৭টি সিনেমার ১৩টি তেই তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শাবনূর।
স্টাইল, চলনবলন, অভিনয় দিয়ে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যান সালমান। মৃত্যুর এত বছর পরেও অন্য কোন নায়ক তার জায়গা পুরণ করতে পারেননি। অনেকের মতে, তার মধ্যে ক্যারিশম্যাটিক একটা ব্যাপারও ছিল। সেই আকর্ষণেই লাখ তরুণ-তরুণী সালমান জাদুতে আটকে যায়।
নিজেকে এমন এক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন সালমান, যে কারণেই মৃত্যুর এত বছর পর, এত নায়কের ভিড়েও সালমান ভক্তরা তাকেই খুঁজে ফিরে।