fbpx

তীব্র শীতে জমে রাস্তায় মারা গেলেন ফরাসি ফটোগ্রাফার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

এ মৃত্যু যেনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। কিন্ত এমন এক মৃত্যুকে বরণ করে নিতে হয়েছে বিখ্যাত ফরাসি ফটোগ্রাফার রেনে রবার্টের। প্রচণ্ড ঠান্ডায় জমে গিয়ে রাস্তায় মারা যান এই ফটোগ্রাফার। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড ঠান্ডায় তিনি রাস্তায় জ্ঞান হারিয়ে ছয় ঘণ্টা পড়ে ছিলেন অথচ কেউ তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন নি। এক সময় রাস্তায়ই মারা যান এই আলোকচিত্রী।

রবার্টের দীর্ঘদিনের বন্ধু সাংবাদিক ও সংগীতশিল্পী মিশেল মোম্পোন্টেট কিছুতেই এই মৃত্যু মেনে নিতে  পারছেন না। তিনি একে ‘উদাসীনতাজনিত হত্যা’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।

তীব্র শীতে জমে রাস্তায় মারা গেলেন ফরাসি ফটোগ্রাফার

মোম্পোন্টেটের বরাতে ইউরোনিউজের খবরে বলা হয়েছে, গত ১৯ জানুয়ারি প্যারিসে তীব্র শীত পড়েছিল। ছবি তোলার নেশায় সেদিনও শহর ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ৮৪ বছরের প্রতিভাবান ফটোগ্রাফার রেনে রবার্ট।

প্রচন্ড ঠান্ডায় হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন রবার্ট। প্যারিসের ব্যস্ত সড়কের ফুটপাতে পড়ে থাকেন তিনি। কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। ৬ ঘণ্টা তুষারে পড়ে থাকায় হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান রবার্ট। একসময় ভবঘুরে এক পথচারীর নজরে আসেন তিনি। সেই ব্যক্তি অন্যদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মানুষের এমন আচরণকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই অমানবিক ও বর্বর বলছেন। নেদারল্যান্ডসে স্পেনের দূতাবাস এক টুইটে লিখেছে, ‘ক্যামেরার ফ্রেমে ফ্ল্যামেংকো শিল্পীদের অমর করে তোলা রেনে রবার্টের মৃত্যু আমাদের  সামগ্রিক মানবিক চেতনাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গেল।’

১৯৩৬ সালে সুইজারল্যান্ডের ফ্রিবুর্গ শহরে জন্ম নেন রেনে রবার্ট। ১২ বছর বয়স থেকেই ফটোগ্রাফার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। ষাটের দশকের দিকে প্যারিসে চলে আসেন তিনি। সুইডিশ এক নৃত্যশিল্পের সহায়তায় পরিচিত হন ফ্লামেনকোর সঙ্গে। ফ্লামেনকো হচ্ছে স্পেনের আন্দালুসিয়ার একটি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্থানীয় সঙ্গীত ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে একটি পেশাগত শিল্প-গঠন।

সেসময় ফ্লেমেনকো পারফর্মারদের পোট্রেইট ছবি তুলে সাড়া ফেলে দেন রেনে। ১৯৬৭ সালে রবার্টের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। বিখ্যাত গিটারিস্ট প্যাকো ডি লুসিয়া, নৃত্যশিল্পী রোসিও মোলিনা ক্রুজের মতো তারকাদের সাদাকালো ছবি তুলেছেন রেনে রবার্ট।

Advertisement
Share.

Leave A Reply