তুলা আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ‘ডিউটি ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা’ প্রদানের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮২ ভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তুলা আমদানি করে থাকে।
বাণিজ্যমন্ত্রী শুক্রবার রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কটন এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘৪র্থ গ্লোবাল কটন সামিট বাংলাদেশ-২০২৩’র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, বিশ্ববাজারে চলমান তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে বাংলাদেশের ৯ মিলিয়ন বেল্ট তুলার প্রয়োজন হলেও মাত্র এক লাখ ৫০ হাজার বেল্ট তুলা দেশে উৎপাদন হয়, যা মোট চাহিদার প্রায় ১ দশমিক ৬ ভাগ। বাকি বিপুল পরিমাণ তুলা বাংলাদেশকে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃহৎ তুলা উৎপাদনকারী দেশ। তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যবহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তুলা আমদানিতে ডিউটি ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে আমাদের এ শিল্পের জন্য সুবিধা হয়।’
তিনি জানান, বাংলাদেশ আগামী দু’বছরের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে চাইলে বিপুল পরিমাণ তুলার প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশে তুলার উৎপাদন কিভাবে বাড়ানো যায়. সে বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আলাপ আলোচনা করে ঠিক করা হবে।
টিপু মুনশি বলেন, ‘কম্বোডিয়ার মতো পৃথিবীর অনেক দেশে জমি অব্যবহ্যত থাকে। আমাদের দেশে দক্ষ জনবল আছে। এ ধরনের জমি লিজ নিয়ে যদি সেখানে তুলা উৎপাদন করে দেশে আনা যায় তাহলেই তুলার প্রয়াজনীয় চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।’