fbpx

তৃতীয় দিনে ৩ উইকেট, পাল্লেকেলেতে স্বস্তিতে বাংলাদেশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

পাল্লেকেলে টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৩১২ রানে পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা, হাতে আছে ৭ উইকেট। দিন শেষে লংকানদের রান ৩ উইকেটে ২২৯। উইকেটে আছেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে (৮৫*) এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (২৬*)

শেষ সেশন বড় হবে, ক্লান্ত বোলারদের শেষ সামর্থ্যটুকু দিয়ে চেষ্টা করে যেতে হবে উইকেট তোলার। সেজন্য দরকার একাগ্রতা, মন:সংযোগ, সঠিক পরিকল্পনা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ; আশাহত না হওয়া। শেষ সেশনের শুরু থেকেই তাইজুল-মিরাজ-তাসকিন; এই তিন বোলারকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কাজে লাগিয়েছেন মুমিনুল হক। টাইগারদের দ্বিতীয় সাফল্য আসে ম্যাচের চুয়ান্নতম ওভারের চতুর্থ বলে। তাসকিনকে আলতো করে লেগ সাইডে গ্ল্যান্স করতে চেয়েছিলেন ওশাদা ফার্নান্দো। বাম দিকে ঝাঁপিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় সেই গ্ল্যান্স গ্লাভসে আটকে ফেলেন লিটন দাশ। স্বাগতিকদের রান ততক্ষণে দেড়শো পার হয়েছে।

চার নম্বরে ব্যাট করতে এসে শুরু থেকেই ইতিবাচক মানসিকতায় ব্যাট করছিলেন অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস। সাথে ছিলেন অধিনায়ক করুনারত্নে। দারুণ ধৈর্য্য আর মন:সংযোগের সাথেই খেলছিলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তাদের পার্টনারশিপটা এগোচ্ছিলো বেশ সাবলীল ভঙ্গিতে। সেই সময়ের দরকার হলো, কাজে দিলো টাইগারদের অভিজ্ঞতা। ম্যাথুসকে রাউন্ড আর ওভার দ্য উইকেট, দুই জায়গা থেকেই বল করছিলেন তাইজুল। কখোনো অ্যাঙ্গেল তৈরী করছিলেন, কখোনো এক্সট্রা বাউন্স আর স্পিনের ফাঁদ। ভ্যারিয়েশনের ওই ফাঁদেই পা দিয়েছেন ম্যাথুস। লেন্থ এবং লাইন দুটোই মিস করে বোল্ড। ততক্ষণে ম্যাচের লাগাম অনেকটাই বাংলাদেশের হাতে। সেই লাগামের মূল কারিগর তাইজুল-মিরাজ-তাসকিন।

পাঁচ বোলারের মধ্যে তিনজনই (তাইজুল-মিরাজ-তাসকিন) তৃতীয় সেশনের প্রথম ২৪ ওভার বল করেছেন। ইবাদতকে আক্রমণে আনা হয়েছে ম্যাথুসের আউটের পরে। শেষ ঘন্টায় আগের দুই সেশনের তুলনায় কিছুটা হলেও কার্যকরী ছিলেন ইবাদত। নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য দ্বিতীয় স্লিপ রেখেই বল করছিলেন ইবাদত হোসেন। কিন্তু হঠাতই দ্বিতীয় স্লিপ সরিয়ে নিয়েছিলেন মুমিনুল। আর ওই ওভারেই দ্বিতীয় স্লিপের ফাঁকা জায়গা দিয়ে ধনঞ্জায়া ডি সিলভার আউটসাইড এজ চার হয়েছে। তার পরের ওভারে অল্পের জন্য কট অ্যান্ড বোল্ডের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন তাইজুল। সবমিলে শেষ ঘন্টাটা ছিলো বেশ রোমাঞ্চকর।

উইকেট পাবার কারণে টাইগার বোলার এবং ফিল্ডাররা ছিলেন উজ্জীবিত। অন্যদিকে টিকে থাকার চেষ্টাতেও একেবারে খোলস বন্দী ছিলেন না লঙ্কানরা। ব্যাকফুটে চলে গেলেও শ্রীলংকার চেষ্টায় দেখা গেছে সর্ব্বোচ্চ একাগ্রতা, ইতিবাচক মনোভাব, রান করার চেষ্টা; যার নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। তবে দিনশেষে বাংলাদেশের দুটো রিভিউ নিয়ে হটকারী চিন্তা বা সিদ্ধান্ত বিশ্লেষকদের অবাক করেছে। বাংলাদেশের রিভিউ নেয়ার ব্যাপারটাই হয়তো এমন, যখন দরকার তখন সবাই চুপ। যখন অপ্রয়োজনীয়, তখন সবাই খুব সরব। তারপরও বাংলাদেশের জন্য প্রেরণা হতে পারে উইকেটের আচরণ। তৃতীয় দিনের শেষ সেশনেই স্পিনারদের জন্য বাড়তি কিছুর আভাস মিলেছে। মিরাজ-তাইজুলরা খুশি হবেন সেটাই স্বাভাবিক।

Advertisement
Share.

Leave A Reply