fbpx

ত্বক থাকুক তারুণ্যে অটুট

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নিজের সুন্দর চেহারা দেখতে কার না ভালো লাগে? তবে সুন্দরের ব্যাখ্যা একেক জনের কাছে এক এক রকম।

সুন্দরের ব্যাখ্যা আলাদা আলাদা হলেও সাধারণ একটা ব্যাখ্যা তো থাকেই। যার ত্বক সুন্দর, তাকে এমনিতেও দেখতে সুন্দর লাগবে এটাই স্বাভাবিক। আর সবারই ইচ্ছে করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখা একটা চর্চার বিষয়। যত্ন নিতে হবে নিয়মিত ত্বকের। আর, সতেজ থাকার জন্য অবশ্যই মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যকর ডায়েট। নিয়মিত শরীরচর্চা আর ত্বকের যত্নের পাশাপাশি প্রয়োজন দৃঢ় মনোবল। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও এখন ত্বকের যত্নে সচেতন। তাই, এখানে ছেলে-মেয়ে সবার জন্যই দেওয়া হলো কিছু টিপস-

ত্বক থাকুক তারুণ্যে অটুট

একটু যত্নেই ত্বকে ফেরে লাবণ্য। ছবি: সংগৃহীত

চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখবেন যেভাবে

হেলথ ২৪-এর প্রতিবেদন বলছে, আমাদের দৈনন্দিন কিছু অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ভালো কাজগুলো প্রতিহত করে। তার মধ্যে রোদে পোড়া অন্যতম। খুব বেশি রোদ আমাদের ত্বককে কুঁচকানো ও বার্ধক্যের ছাপ ফেলতে সাহায্য করে। ধূমপান, মদ্যপান, নিয়মিত গভীর রাত জাগা এবং অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাও ত্বকের জন্য ভালো নয়। এ ধরনের বার্ধক্যকে বাহ্যিক বার্ধক্য বলে, যা বাহ্যিক কারণে ঘটে।

অন্যদিকে, অন্তর্নিহিত বার্ধক্য (যা প্রাকৃতিকভাবে আসে), তা আমাদের ত্বকে মাত্র ২০ শতাংশ বিবেচিত হয়। অর্থাৎ, প্রাকৃতিক বার্ধক্য আসার আগেই আমরা অভ্যাসগত কারণে বার্ধক্যকে বরণ করি। ত্বকে তারুণ্য থাকলে মনে সুখ থাকে, আর মনে সুখ থাকলে ত্বকে সেটারই প্রভাব পড়ে। আমরা ৩০ বছর বয়স থেকে চোখের চারপাশে সূক্ষ্ম রেখায় বুড়ো হওয়ার প্রথম লক্ষণগুলো দেখতে শুরু করি। বুড়িয়ে যাওয়া ত্বক আমাদের ভেতরকার তেজ ক্ষয় করে। যদিও হরমোনসহ অনেক কারণ আমাদের বার্ধক্য প্রক্রিয়ায় অবদান রাখে। তবে কিছু নিয়ম মানলে তারুণ্য দীর্ঘদিন ধরে রাখা সম্ভব।

ত্বক থাকুক তারুণ্যে অটুট

প্রতিচ্ছবি দেখে বদলে যাবেন আপনি নিজেই। ছবি : সংগৃহীত

কোলাজেন ব্যাখ্যা

প্রাকৃতিকভাবে আমাদের শরীরে প্রচুর প্রোটিন হয়। এটি ত্বক, লিগামেন্টস এবং দেহের কাঠামো উন্নত করে। তরুণ বয়সে আমাদের শরীরে প্রচুর কোলাজেন থাকে, যা বাচ্চাদের এবং কিশোরদের ত্বকগুলো হাসির মতো স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরিয়ে আনে বারবার। তবে ২০ বছরের পর থেকে আমরা এটি শরীর কম উৎপাদন করে এবং কোলাজেনের গুণগত মানও খারাপ হতে থাকে। এ জন্য বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাসির রেখা গভীর হতে থাকে। এ জন্যই ডাক্তাররা বেশি কোলাজেন তৈরিতে উৎসাহী করেন।

কী করবেন?

আপনি যদি ত্বক রক্ষণাবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে নিয়মিত। ফেসিয়াল করা, প্রাকৃতিক নির্যাস ব্যবহার করা এবং প্রয়োজনমতো চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা। তবেই ঝকঝকে ত্বক আপনি পাবেন। এ জন্য আলাদা করে ব্যয়বহুল কিছু করার দরকার পড়বে না। যদি কেউ ত্বকের অবহেলা করে রোদে পোড়ায়, খাবারে সচেতন না থাকে, তবে স্বাভাবিকভাবেই চামড়া কুঁচকে যাবে, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে। এরপর হয়তো চিকিৎসা করালে কিছুটা রিকোভার করা সম্ভব। তবে যিনি আগে থেকে সচেতন, তাঁর মতো ত্বক পাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ত্বকের যত্নে যতটা পারবেন প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করবেন। আর তাতেই বরং বেশি দিন তারুণ্য থাকবে ত্বকে। সেই সাথে আপনার মনেও। কারণ, সুস্থ, সুন্দর, মসৃন ত্বক আপনার অভ্যন্তরীন সুখী মনকে উপস্থাপন করে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply