ঈদে মুক্তি পেয়েছে তিন সিনেমা, পরাণ, দিন,দ্য ডে এবং সাইকো। ঈদের সিনেমা বলে কথা। দর্শকের বাড়তি আগ্রহ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই ঈদের সিনেমা দেখতে দর্শক হচ্ছেন হলমুখী।
দিন দ্য ডে’ সিনেমা সবচেয়ে বেশি প্রচারে এগিয়ে ছিলো এবার। দেশের ভিন্ন জেলা শহর ছেয়ে গিয়েছে অনন্ত জলিলের এই বিগ বাজেটের সিনেমার পোস্টারে। এমনকি অনন্ত জলিল ও বর্ষা ‘দিন, দ্য ডে’ সিনেমার পুরো টিম নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে গিয়েছেন প্রচারণার উদ্দেশ্যে। তবে ঈদের ৩য় দিনে এসে অনেকেকটা হতাশই হতে হয়েছে অনন্ত জলিলকে। ১০০ কোটি টাকা বাজেটের সিনেমা, কিন্তু দর্শক রিভিউ হতাশাজনক। কেউ বলছেন, টিকিট কেটে টাকাটাই লস, কেউ আবার বলছেন এমন সিনেমা কিভাবে দেশের বাইরে মুক্তি দেওয়া হতে পারে। তবে অনন্তের সিনেমারও আছে কিছু আলাদা দর্শক। তারা বরাবরের মতই অনন্ত জলিলের সিনেমা দেখে খুশি।
তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফির সিনেমা পরাণ, মুক্তি পেয়েছে ঈদুল আজহায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সিনেমার রিভিউ এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো। রায়হান রাফি ও সিনেমার অভিনেতারা ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন শহরে যাচ্ছেন, দেখছেন দর্শকের প্রতিক্রিয়া। ঢাকার প্রায় হলগুলোই হাউজফুল। সেই হিসেবে বলা যায় পারাণ নিয়ে এখন পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে সবচেয়ে ভালো রিভিউ।
ঈদ-উল-আজহার আরেকটি সিনেমা থ্রিলারধর্মী ‘সাইকো। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন রোশান-পূজা জুটি। এই সিনেমা নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি দেখা যাচ্ছে না এখন পর্যন্ত। গতকাল অনন্য মামুম ও পূজা চেরী গিয়েছেলেন খুলনায়, সেখানে তারা দর্শকদের সাথে বসে সিনেমা দেখেছেন। দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখে পূজা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি দর্শকের এমন ভালোবাসায় আপ্লুত, ভীষণ খুশি।
বাংলা সিনেমার হাওয়া পালটাবে কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে, তবে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি টিকিয়ে রাখতে দর্শকের হলমুখী হওয়া কতটা জরুরি সেটা বুঝে গিয়েছেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। আর তাইতো সবাই চাইছেন প্রত্যেকটা সিনেমা যেন দর্শক হলে গিয়ে দেখেন, না হলে সিনেমা ব্যবসাই পড়বে ঝুঁকিতে।
https://www.facebook.com/eveningshow.bbs/videos/366427998959798