কয়েক দফা দাবি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন বর্জ্য সংগ্রহকারীরা। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদের দাবি মেনে না নিলে তারা বাসা-বাড়ির ময়লা সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বর্জ্য সংগ্রহকারীদের সংগঠন প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডারসের (পিডব্লিউসিএসপি) নেতারা এ ঘোষণা দেন।
দরপত্রের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল, বর্তমানে এ কাজে নিয়োজিত বর্জ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নবায়ন এবং বর্জ্য সংগ্রহের কাজ নবায়নের ক্ষেত্রে পিডব্লিউসিএসপি থেকে প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র আবারো চালু করার দাবিগুলো সাতদিনের মধ্যে মেনে নেয়া না হলে বর্জ্য সংগ্রহ বন্ধ করে দিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
সংগঠনটির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন প্রতিবছর পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজের জন্য যে অনুমতি দেয়, তার মেয়াদ ডিসেম্বরে শেষ হলে তা নবায়নের আবেদন করা হলেও এখনো অনুমোদন স্থগিত রাখা হয়েছে। এছাড়া, ডিএনসিসি দরপত্রের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের উদ্যোগও নিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
পিডব্লিউসিএসপি গত ১২ জানুয়ারি ডিএনসিসি’র এসব সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে প্রথমবার মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তার আগে, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামের অনুরোধে এবং তিনি বর্জ্য সংগ্রহের অনুমতি ছয়মাসের জন্য নবায়ন করছেন আশ্বস্ত করায় তারা কর্মসূচি স্থগিত করে।
পরবর্তীতে পিডব্লিউসিএসপি আশাহত হয়ে আবারো ২৬ জানুয়ারি মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত নিলে ঢাকা উত্তরের মেয়র আবারো ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহীর সাথে তাদের দেখা করতে বলেন। এর প্রেক্ষিতে তারা প্রধান নির্বাহীর সাথে দেখা করলে তিনি জানান, সরাসরি দরপত্রের মাধ্যমেই বর্জ্য সংগ্রেহের কাজ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পিডব্লিউসিএসপি’র সভাপতি নাহিদ আক্তার বলেন, বর্জ্য সংগ্রহকারীদের অনুমতি না থাকায় অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা এই কাজে দখল নিচ্ছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দিলেও এ কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নানা আইনি জটিলতা দেখিয়ে বর্জ্য সংগ্রহের কাজ দরপত্রের মাধ্যমে দেওয়ার প্রক্রিয়া করছেন।
পিডব্লিউসিএসপি’র এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। তাদের অনেকেই এ সময় শরীরে কাফনের কাপড় পেঁচিয়ে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন।